ইউক্রেনে হাজার হাজার মানুষ খাবার পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় নোভা কাখোভকা বাঁধ ধসে পড়ায় এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি ওই বাঁধ গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় রাশিয়া ইউক্রেনকে এবং ইউক্রেন রাশিয়াকে দোষারোপ করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই ঘটার পেছনে কারা দায়ী তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
তিনি জানিয়েছেন,
তিনি বলেন, রাশিয়া যেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণে আছে সেখানে দখলদাররা সাধারণ মানুষকেও কোনও সহায়তা দিচ্ছে না। বাঁধ গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় রাশিয়াকে দায়ী করে জেলেনস্কি বলছেন এই হামলা অবশ্যই ইচ্ছাকৃত ঘটনা। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সন্ত্রাসীরা আরও একবার প্রমান করলো যে, তারা সবকিছুর জন্য একটি হুমকি।
ওই বাঁধ ধসে পড়ার কারণে দিনিপ্রো নদীর পানি বেড়ে গেছে এবং খেরসন শহরে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাশিয়া অবশ্য এই বাঁধ ধসে পড়ার কোনও দায় নিচ্ছে না। বরং, তারা বলছে, ইউক্রেনের গোলার আঘাতে এই বাঁধ ধসে পড়েছে। তবে ইউক্রেন বা রাশিয়া কারও দাবিই যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কাখোভকা বাঁধটি এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই বাঁধ স্থানীয় কৃষক এবং বাসিন্দাদের পাশাপাশি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি সরবরাহ করে। এটি রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়ার দক্ষিণেও পানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল। ডেপুটি প্রসিকিউটর-জেনারেল ভিক্টোরিয়া লিটভিনোভা ইউক্রেনীয় টেলিভিশনের এক ভাষণে বলেন, প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া দরকার।
বাঁধটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর পরই আশেপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় এক সামরিক কর্মকর্তা বলছেন, খেরসন অঞ্চলের অন্তত আটটি বসতি ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে।
১৭ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫