Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

বিশ্ব

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না: ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

ডেস্ক রিপোর্ট:
১৫ দিন আগে মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো

দুই বছর পেরিয়ে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ গড়িয়েছে তৃতীয় বছরে। দীর্ঘ এই সময়ে পাল্টাপাল্টি হামলায় হয়েছে হাজারও মানুষের প্রাণহানি। তবে সম্প্রতি পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় টান পড়ায় ইউক্রেন অনেকটা চাপে পড়েছে।


এই পরিস্থিতিতে আলোচনায় এসেছে ইউক্রেনে মিত্রদের সেনা পাঠানোর বিষয়টি। স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্র ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে

দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কথা বিবেচনা করছে।


এরপরই ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যদিও এই বিষয়ে এখনও ঐক্যমত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।


মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।


প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার বলেছেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে কোনও ঐক্যমত হয়নি, তবে বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইউক্রেনের মিত্র ২০টি দেশের সঙ্গে এক বৈঠকে ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এই পর্যায়ে কোনও ঐক্যমত নেই... দেশটিতে সৈন্য পাঠানোর জন্য।’


তবে তিনি বলেছেন, ‘কিছুই বাদ দেওয়া উচিত নয়। রাশিয়া যাতে জিততে না পারে সেজন্য যা করতে হবে আমরা তা করব।’


এর আগে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো সোমবার বলেন, সামরিক জোট ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু সদস্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।


ফিকো দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা সরবরাহের বিরোধিতা করে এসেছেন এবং কিছু সমালোচকের চোখে তিনি রুশপন্থি অবস্থান নিয়েছেন। তবে সোমবার করা নিজের এই মন্তব্যের কোনও বিশদ বিবরণ তিনি দেননি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারাও তার বক্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেননি।


যদিও পরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন।


রয়টার্স বলছে, প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকের আগে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে মন্তব্য করেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী। স্লোভাকিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর ফিকো এক টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমি কেবল এতটুকুই বলব, (প্যারিস বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য) এসব থিসিস ইঙ্গিত দিচ্ছে, বেশ কিছু ন্যাটো এবং ইইউ সদস্য দেশ দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে ইউক্রেনে তাদের সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে পারি না ঠিক কোন উদ্দেশ্যে এই সেনা পাঠানো হবে এবং সেখানে ঠিক তাদের কি করা উচিত।’ তবে তিনি বলেন, ইইউ এবং ন্যাটোর সদস্য হলেও স্লোভাকিয়া ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না।


রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরু থেকে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো কিয়েভকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে এসেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ন্যাটো দেশগুলোর নেতারা জোর দিচ্ছে, পশ্চিমা সামরিক জোট রাশিয়ার সাথে সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে চায়, কারণ তেমনটি হলে পরিস্থিতি বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।


এর আগে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বলেন, ‘ন্যাটো বা ন্যাটো মিত্রদের কেউই সংঘাতের কোনও পক্ষ নয়।’


অবশ্য ফিকোর মন্তব্যের বিষয়ে ন্যাটো তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।

১৫ দিন আগে মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন