সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-র মধ্যে তিনদিন ধরে ক্ষমতার জন্য সংঘর্ষ চলছে। দু’পক্ষের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৮০০ জন।
আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে ভিডিওতে কথা বলার সময় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ভলকার পার্থেস
এদিকে সোমবার, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আবারও সুদানের যুদ্ধরত দুই পক্ষকে অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই যুদ্ধ সুদানের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এ ছাড়া সোমবার সুদানে দুই বাহিনীর সংঘাতে নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
সুদানের রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে শনিবার লড়াই শুরু হয়। সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে শীর্ষ দুই জেনারেল এবং সবশেষ এই সংঘর্ষের জন্য তাদের নেতৃত্বাধীন দুই বাহিনী পরস্পরকে দায়ী করছে।
পেছনের পটভূমি
সুদানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জেনারেলদের একটি কাউন্সিল দেশটি পরিচালনা করছে। কিন্তু পরে বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে তৈরি হয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব।
মূলত কাউন্সিলের শীর্ষ দুই সামরিক নেতাকে ঘিরেই এই বিরোধ। এরা হলেন- জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো।
জেনারেল আল-বুরহান সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং সে কারণে তিনিই দেশটির প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে দেশটির উপ-নেতা জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো কুখ্যাত আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফের কমান্ডার। তিনি হেমেডটি নামেই বেশি পরিচিত।
অল্প কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতা থেকে সরাতে তারা দুজন একসাথে কাজ করেছেন।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
কিন্তু এক পর্যায়ে আগামীতে দেশটি কিভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়েই এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বিশেষ করে সুদানের ভবিষ্যৎ এবং দেশটির বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে তারা ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেন।
২১ দিন আগে শনিবার, জুন ৭, ২০২৫