কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসাকে ঘিরে এলাকায় চলছে ব্যাপক সমালোচনা । কারণ এ মাদ্রাসার ভবন-জনবল সরকারি খাতায় এখন ‘এতিমখানা’। বাস্তবে কাগজে-কলমে সবই সাইনবোর্ড মাত্র! মাদ্রাসার ভবনকে এতিমখানা দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে খোদ মাদ্রাসার সভাপতির কাজী শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
ওয়াহেদপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার দ্বিতল ভবনে
সরেজমিন ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনার একটি দ্বিতল ভবনে ‘ওয়াহেদপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এতিমখানা কমপ্লেক্স’ নামে একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। ওই ভবনের ৮টি কক্ষে অফিস, শ্রেণিকক্ষ, শোবার ঘর, ডাইনিং কক্ষ, বাবুর্চিখানা সবই আছে। এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতির জন্য নিজস্ব কক্ষও আছে। ওই কক্ষে সভাপতি কাজী শাহআলম এর নামে খোদাই করা আলীশান চেয়ারও রয়েছে।
এতিমখানাটি স্থাপিত দেখানো হয় ২০১৭ সাল, রেজি. নং-কুমি ২১২৬/২০১৯ইং। এতিমখানা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কাজী শাহ আলম সমাজসেবা অধিদপ্তরে এতিমখানার চার সদস্যের যে জনবল দেখিয়েছেন তাতে প্রধান শিক্ষক হিসাবে সভাপতির নাতি ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের ওয়াহেদপুর বাজার শাখার এজেন্ট কাজী হাসবি, সহকারী শিক্ষক হিসাবে মাদ্রাসা মসজিদের মোয়াজ্জিন হাফেজ আব্দুর রহমান ও সভাপতির নিজ মেয়ে ওয়াহেদপুর মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী মারিয়া আক্তার এবং বাবুর্চি হিসাবে সভাপতির ভাতিজা ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানির পিকআপ ভ্যানচালক আল আমিনকে নিয়োগ দেখিয়েছেন। এদের নাম কাগজে-কলমে বা সমাজসেবা কার্যালয়ে থাকলেও বাস্তবে তাদের কারোরই এতিমখানার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, এতিমখানার কোনো নিজস্ব জায়গা নেই। এতিমখানা ও মাদ্রাসার উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে সভাপতি কাজী শাহ আলম সাহেব ভালো বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালনকালে গত ১৪ বছরে মাদ্রাসার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যারা মাদ্রাসার উন্নয়ন চান না তারাই আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছেন।
৩ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫