Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শুক্রবার, জুন ৬, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিশ্ব

রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি দিলো পশ্চিমা মিত্ররা

ডেস্ক রিপোর্ট:
১০ দিন আগে শুক্রবার, জুন ৬, ২০২৫
# ফাইল ফটো




ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় জার্মানি এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে তাদের সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অনুমতি পেলো। 


সোমবার (২৬ মে) বার্লিনে এক ইউরোপীয়

ফোরামে জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ বলেন, ‘ইউক্রেনকে সরবরাহকৃত অস্ত্রের ওপর আর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। এর ফলে এখন ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতরে থাকা সামরিক ঘাঁটি ও অবস্থানে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারবে।’


এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে চ্যান্সেলর মের্জ তার পূর্বসূরি ওলাফ স্কোলজের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করলেন। স্কোলজ বরাবরই এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার পক্ষে ছিলেন। যদিও এখনো জার্মানি তাদের নিজস্ব শক্তিশালী টরাস ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে দেবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। যুক্তরাষ্ট্রও এর আগেই তাদের অবস্থান বদলে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের পর ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিলো।


এই ঘোষণার পর মস্কো তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলাকে ন্যাটোর পক্ষ থেকে যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং পরিস্থিতি চরমে পৌঁছালে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পরিপন্থী।


এদিকে রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলায় ইউক্রেনের অন্তত দুই ডজনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও ছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রুশ নেতৃত্বের ওপর যদি সত্যিকারের আন্তর্জাতিক চাপ না আসে, তাহলে এই বর্বরতা কখনোই বন্ধ হবে না।’ 


ইউক্রেন যুদ্ধ বাধলে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিশ্বইউক্রেন যুদ্ধ বাধলে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিশ্ব

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কর্মকাণ্ডকে ‘পাগলামি’ বলে উল্লেখ করেছেন, অন্যদিকে জেলেনস্কির বক্তব্যকেও ‘সমস্যা তৈরি করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে মার্কিন কংগ্রেসে তার দলের মধ্যেই ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। অনেক রিপাবলিকান নেতাই ইউক্রেনকে আরও সহায়তা এবং রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন।


এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন ইউরোপের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুদ্ধ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। 


তথ্যসূত্র: সিএনএন

১০ দিন আগে শুক্রবার, জুন ৬, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন