কুমিল্লার দেবিদ্বারে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজখবর নিতে শুক্রবার বিকেলে ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চাঁদপুরে যান স্থানীয় সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।
এইসময় উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) খাদিমুল বাহার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম ওমানি, জেলা পরিষদ সদস্য ভিপি বাবলু হোসেন রাজু ,প্রভাষক সাইফুল ইসলাম শামীম, ওয়ার্ড
শনিবার (২০মে) বিকেলে ফতেবাদ ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের পরিমল দাসের বাড়িঘর ভাঙচুর করে উপজেলার চেয়ারম্যানের অনুসারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আক্তারের নেতৃত্বে অর্ধশত দুর্বৃত্ত। এইসময় একটি টিনের আধপাকা ঘর ও ঘরের মধ্যে থাকা টিভি, স্যোকেস, ফার্ণিচার ভাঙচুরসহ স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছ।
সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য পরিমল দাস বলেন,’আমি এমনেতেই সংখ্যালঘু মানুষ। আমাকে যেখানে পাবে হত্যা করবে বলে গেছে কামরুজ্জামান মাসুদ চেয়ারম্যানের ভাই ও সমর্থকরা। আমি এই দেশে জীবিত থাকতে পারবো কি-না জানি না। আমি আতঙ্কের সাথে আছি।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে পরিমল সরকার বাদী হয়ে কুমিল্লা আদালতের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে প্রতিমা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদের ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান (৪০), ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ (৫০), কাজী বিল্লাল (৩২), কাজী হেলাল(৩০), জয়দল হোসেন (৩৮), শাহিন ইসলাম (২৫), জহিরুল ইসলাম (৪৫), দিদারুল আলম ফয়েজ (২৬), গাফফার (৩৫), মামুন (২৬)।
২৯ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫