Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

লিড নিউজ

নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব আয়োজন করাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট:
১৫ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫
# ফাইল ফটো




প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাঁর সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক)

শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।


বাংলাদেশের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক ইউনূস ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, লাখো সাধারণ মানুষ নয় মাস ধরে একটি নৃশংস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।


তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত হতে দেখেছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় এবং নাগরিক অধিকারের অবমাননা তারা প্রত্যক্ষ করেছে।


অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সাধারণ মানুষ একটি নৃশংস স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। তবে এই সংগ্রামে প্রায় দুই হাজার নিরীহ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই তরুণ, এবং ১১৮ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন জাগরণ ঘটেছে।


তিনি উল্লেখ করেন, যেসব ছাত্রনেতা এই গণজাগরণে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, তারা তাঁকে এই সংকটময় সময়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেছিল। জনগণের স্বার্থে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হয়েছেন।


সরকার প্রধান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বলিষ্ঠ সংস্কার বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা তাদের প্রধান লক্ষ্য।


ইতিমধ্যে সরকার বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংবিধান সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশন তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা সরকার বিবেচনা করছে।


এছাড়াও, একটি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস নিজেই। এই কমিশনে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন, যারা তাদের সুপারিশ পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নের কাজ করছেন।


সরকার সম্প্রতি গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী অধিকার সংক্রান্ত নীতিগত সুপারিশ দেওয়ার জন্য আরও চারটি কমিশন গঠন করেছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করার সময় নারী, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে।


বিমসটেক সম্মেলনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও সম্মেলনের চেয়ারপার্সন পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা, বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মনি পান্ডে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

১৫ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন