ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রয়োজনীয় সাহায্য না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস। তিনি বলেন, "আমি যতটা সম্ভব এই শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করব।"
ইসরাইল ১১ সপ্তাহ ধরে চলা গাজায় ত্রাণ সরবরাহের অবরোধ শিথিল করেছে। তবে গ্রিফিথস জানান,
তিনি বলেন, "গাজায় আমাদের মানবিক সহায়তার বন্যা বয়ে দিতে হবে। জাতিসংঘের প্রকৃত পরীক্ষা হবে আমরা আরও সহায়তা প্রদান করতে পারি কিনা।"
এদিকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। এছাড়াও তারা গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস যদি সকল বন্দীদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে তবে এই যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হতে পারে। বর্তমানে হামাসের হাতে ৫৮ জন বন্দী রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যার মধ্যে ২৩ জন জীবিত থাকতে পারেন।
বিবিসির আন্না ফস্টার গ্রিফিথসকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কিভাবে জাতিসংঘ নির্ধারণ করল যে ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। উত্তরে তিনি বলেন, "আমাদের সেখানে একটি শক্তিশালী দল রয়েছে—অনেকে নিহত হলেও এখনও অনেক কর্মী সেখানে রয়েছে।"
গ্রিফিথস বলেন, তারা হাসপাতাল ও স্কুলে কাজ করছেন এবং পরিস্থিতি মূল্যায়নের চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাঠানো ত্রাণ সামান্য পরিমাণে পৌঁছেছে। ইসরাইল রোববার গাজায় অবরোধ শিথিল করে ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে, যা তারা হামাসের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য আরোপ করেছিল। তবে গ্রিফিথসের মতে, এটি পর্যাপ্ত নয়।
তিনি বলেন, "আজ মাত্র ৯টি ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে, যা সাগরে এক ফোঁটা পানির সমান। আমাদের আরও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ত্রাণ পাঠাতে হবে।"
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, "লুটপাট রোধ করতে নিয়মিত ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। মানবিক কর্মীদের একাধিক রুট ব্যবহার করে গাজায় প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। বাণিজ্যিক পণ্যও প্রবেশ করতে দিতে হবে।"
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান যেন তারা জাতিসংঘকে সমর্থন দেয়, যাতে ইসরাইলের উপর চাপ বাড়িয়ে ক্ষুধার্ত মানুষদের সাহায্য পাঠানো যায়।
১৭ দিন আগে শনিবার, জুন ৭, ২০২৫
