বাবর আজম যেন মাঠেই নামেন নতুন কীর্তি গড়তে! গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরুটা ভালো করেও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি, আউট হয়েছেন ৫৩ রান করে। তাতে কী! এই মাঝারি মানের ইনিংস খেলার আগেই বড় একটা রেকর্ডই গড়ে ফেলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
অর্থাৎ এ রেকর্ড গড়তে তাঁর ৫৩ রানের ইনিংসের প্রয়োজন হয়নি। গতকাল ১০০তম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই নতুন রেকর্ড গড়েছেন বাবর। ছাড়িয়ে গেছেন হাশিম আমলা, ভিভ রিচার্ডসদের।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ১০০ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান তোলার রেকর্ড এখন বাবরের। সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলার রেকর্ডও পাকিস্তান অধিনায়কের। ১০০ ইনিংসে ৪৫ বারই ফিফটি বা তার চেয়ে বেশি রান করেছেন বাবর। এর মধ্যে সেঞ্চুরি ১৮টি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ১০০ ইনিংসের পর বাবরের রান ৫৮.৪৩ গড়ে ৫১৪২। নতুন এ রেকর্ড গড়তে গতকালের ইনিংসে খেলা ৫৩ রান প্রয়োজন হয়নি। কারণ, ৯৯ ইনিংসেই বাবরের রান ছিল ৫০৮৯। তা ছিল এর আগে প্রথম ১০০ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তোলা হাশিম আমলার চেয়ে বেশি। অর্থাৎ আমলাদের ছাড়িয়ে যেতে বাবরের শুধু ১০০তম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামাটাই দরকার ছিল।
প্রোটিয়া কিংবদন্তি আমলা ১০০ ইনিংসে ২৫ ফিফটি ও ১৭ সেঞ্চুরিতে রান করেছিলেন ৪৯৪৬। তালিকায় এর পরের নামটা ক্যারিবিয়ান গ্রেট ভিভিয়ান রিচার্ডসের। ৫৬.০৭ গড়ে ভিভ করেছিলেন ৪৬০৭ রান। ১০০ ইনিংসে এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি ছিল ৮টি, ফিফটি ৩৪টি। এ তালিকায় কোহলির অবস্থান নবম। প্রথম ১০০ ইনিংসে কোহলির গড় ৫০–এর কম—৪৯.৭৬।
২৩ ফিফটি আর ১৩ সেঞ্চুরিতে কোহলির রান ৪২৩০। বাবর গতকাল রেকর্ড গড়েছেন আরও। সেটা অবশ্য একা নন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাকিস্তান ওপেনার ইমাম উল হককে সঙ্গে নিয়ে।
ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি জুটি এসেছে বাবর ও ইমামের কাছ থেকে। মাত্র ৩৩ ইনিংস একসঙ্গে ব্যাট করে ১০ বার শতরানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। এর আগে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি রানের জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ ও ইউনিস খান।
৬৮ ইনিংসে একসঙ্গে ব্যাট করে তাঁরা শতরানের জুটি গড়েছিলেন ৯টি। অর্থাৎ ৩৫ ইনিংস কম খেলেই এই দুই কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে গেছেন বাবর-ইমাম। এ তালিকায় পরের অবস্থান ইনজামাম উল হক ও ইউসুফের। ৯৯ ইনিংসে তাঁরা পাকিস্তানকে শতরানের জুটি দিতে পেরেছেন আটবার।
২৮ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫