সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২ ওমরাহযাত্রীর মধ্যে দুজনের বাড়ি নোয়াখালীতে।
নিহতরা হলেন- নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর মালেক মোল্লার বাড়ির শরিয়ত উল্লাহর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (২৬) ও চাটখিল উপজেলার নাহারখিল ইউনিয়নের পশ্চিম রামনারায়ণপুর ভূঁইয়াজি বাড়ির মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. হেলাল
বিষয়টি নিশ্চিত করে শহিদুলের চাচা বাবুল বলেন, ‘দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় শহিদুল। গত বছরের মার্চে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান শহিদুল। সেখানে একটি দোকানে কাজ করতেন। গতকাল ওমরাহ পালনের জন্য মক্কা নগরীর উদ্দেশে কর্মস্থল থেকে রওনা হলে সড়ক দুর্ঘটনায় শহিদুল মারা যান।’
অপরদিকে, প্রায় এক বছর এক মাস আগে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সৌদি আরবে যান মো. হেলাল উদ্দিন। সেখানে তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। দুই ভাই আর দুই বোনের সবার বড় হেলাল। তার হাজাবি নামে সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
হেলালের কর্মরত কোম্পানি থেকে ওমরাহ করার জন্য চারজন একসঙ্গে মক্কা নগরীর উদ্দেশে রওনা হলে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনই মারা যান।হেলাল উদ্দিনের ছোট ভাই মো. রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২ ওমরাহযাত্রীর মধ্যে আটজন বাংলাদেশি। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৮ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী ওই বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার একটি সেতুর সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি উল্টে যায় ও একপর্যায়ে সেটিতে আগুন ধরে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে পবিত্র মক্কায় যাচ্ছিলেন। বাসের ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়। বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫