নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে বৈষম্য ও প্রহসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১১ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীবৃন্দ।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ১২টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্ত্বর বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এক শতাধিকের বেশি কর্মচারীরা
উপস্থিত ছিলেন। কর্মচারীরা ”আমাদের দাবি আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে” সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
তারা জানান, নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে অযৌক্তিক বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। আমরা কোনো প্রহসন চাই না। ন্যায়সঙ্গত, বৈষম্যহীন পে-স্কেল চাই। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই নিয়মে পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে এবং প্রশাসনিক জটিলতা ও সব ধরনের ষড়যন্ত্র দূর করে দ্রুত আদেশ জারি করতে হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্য দূর করে পূর্ণাঙ্গ নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবো।”
এ বিষয়ে কর্মচারী মনির মুন্সি বলেন, “আজকে আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছি। কিন্তু দাবি উপেক্ষা করা হলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।”
প্রবীণ কর্মচারী এ. কে. এম. কামরুল ইসলাম বলেন, "আমাদের ৯ম পে-স্কেলে বেতন বাড়ানোর কথা ছিল। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বলছেন পে-স্কেল দেওয়া সম্ভব নয়। যদি আমাদের পে-স্কেল না দেওয়া হয়, বাংলাদেশ আবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে, এই কর্মচারীদের কারণেই।”
কর্মচারী পরিষদের ফখরুল ইসলাম বলেন, "আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন যে কর্মসূচি দেবে, আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। মৌলিক অধিকার না পেলে আমাদেরও করার কিছু থাকবে না।”
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী ও বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সহ সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আলম বলেন, "প্রতি পাঁচ বছর পরপর পে স্কেল প্রদান করার নিয়ম থাকলেও বিগত আওয়ামী সরকার তা করেনি। তখন থেকেই বিভিন্ন সংগঠন, বৈষম্য নিরসন পূর্বে একটি পে স্কেল প্রদানের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছে, এবং এ দাবি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকালেই বাস্তবায়নের আশা করা হচ্ছিল। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি পে কমিশন গঠন করে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল-এই পে কমিশনের মাধ্যমে বৈষম্যের অবসান ঘটানো হবে।
তিনি আরো বলেন, "আমরা ১৬ ডিসেম্বর মধ্যেই পে কমিশনের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানানো হচ্ছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এই পে স্কেল প্রদান করা সম্ভব নয়, নির্বাচিত সরকার এসে এই পে স্কেল প্রদান করবে। আমরা সারা বাংলাদেশের কর্মচারীরা এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
২৮ দিন আগে রবিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
