কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার টামটা এলাকায় এক প্রতিবন্ধী ভাইকে হুইল চেয়ারে বসা অবস্থায় কোদাল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এদিন ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একজন প্রতিবন্ধী হুইল চেয়ারে রাস্তায় বসে আছেন। এ সময় পেছন থেকে এক ব্যক্তি এসে তার মাথায় কোদাল দিয়ে একবার আঘাত করলে তিনি হুইল চেয়ার থেকে
মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপর মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় তাকে একাধিকবার কোদাল দিয়ে আঘাত করে ওই ব্যক্তি।পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম আমির হোসেন (৬৫)। তিনি টামটা এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। আর কোদাল দিয়ে আঘাত করা ব্যক্তির নাম এ বিএম ওসমান গনি ওরফে নাসিম ডাক্তার (৫৫)। তিনি টামটার মৃত শহিদুল্লাহ মাস্টারের ছেলে। দুজনেই সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই।
স্থানীয়রা জানায়, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে আমির হোসেন বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার উপর গেলে তাকে একা পেয়ে এ বিএম ওসমান গনির লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমির হোসেন গুরুতর আহত হন। সংবাদ পেয়ে আমির হোসেনের লোকজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করতে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তখন আমির হোসেন ঝগড়া থেকে সামান্য দূরে গিয়ে অবস্থান নেন।
একপর্যায়ে ওসমান গনি এসে তার ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় আমির হোসেনসহ হাবিবুর রহমান (৩০), শরীফ (২৫), মহিউদ্দিন (২২) আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর ভূঞা বলেন, ভিডিও ফুটেজটি আমাদের নজরে পড়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনায় জড়িত এ বিএম ওসমান গনি ওরফে নাসিম ডাক্তার, তার ভাই মো. শামীম ওসমান (৪৮) ও মো. শাহাদৎ (৩৫), বিএম ওসমান গনির ছেলে মো. সিয়াম (২৭) ও মো. সিহাবকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১১ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫