খেলার ৬৭ মিনিট পর্যন্ত ২-০ তে পিছিয়ে মেসির ইন্টার মায়ামি। ভরসা শুধু মেসি। ম্যাজিকাল কিছু একটা হবে সেই প্রত্যাশায়ই ছিলেন মিয়ামি ফ্যানরা এবং বরাবরের মত এবারও হতাশ করেননি মেসি। ২-২ এ সমতা ফিরিয়ে শেষে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলের ব্যবধানের জয়ে প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালের টিকিট কেটেছে মায়ামি।
লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার ১৮ মিনিটে করা গোলে প্রথমার্ধ শেষে ১–০ গোলে এগিয়ে ছিল সিনসিনাটি।
মায়ামির ফেরার গল্পের শুরুটা ৬৮তম মিনিটে। মাঠের একদম বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক পেয়েছিল তারা। মেসির ফ্রি কিকটা বক্সে একদম জটলার মধ্যে ফেলেছিলেন। বল ভালো, কাম্পানার একদম মাথার ওপর! একটু লাফিয়ে হেডে গোল করেন ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড। তাতেই যেন ম্যাচে প্রাণ ফেরে!
এরপর শেষ বাঁশি বাজতে যখন আর সর্বোচ্চ মিনিট দুয়েক বাকি, ঠিক তখনই বাঁ প্রান্ত থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ালেন মেসি। বলটা বাতাসে ভাসতে ভাসতে ইন্টার মায়ামি ফরোয়ার্ড লিওনার্দো কাম্পানার মাথায় এমনভাবে গিয়ে পড়ল যেন প্লেটে তুলে দেওয়া গোল। শুধু হেডটা করতে হয়েছে তাকে। এভাবেই ২–২ গোলে মায়ামি সমতায় ফেরার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
৯৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশির পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শটে গোল করে মায়ামিকে ৩–২ গোলে এগিয়ে দেন জোসেফ মার্তিনেজ। কিন্তু নাটকীয় এই ম্যাচে শেষ অঙ্কের চিত্রনাট্য তখনও শেষ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে পরের অর্ধে ১১৪ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি মায়ামির ডিফেন্ডার। সুবিধামতো জায়গায় বল পেয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে ম্যাচের স্কোর ৩–৩ করেন সিনসিনাটির জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইয়ুয়া কুবো।
টাইব্রেকারে সিনসিনাটির হয়ে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন কুবো। মায়ামির হয়ে প্রথম শটটি নেন মেসি। বাঁ পাশের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর সিনসিনাটির সান্তিয়াগো আরিয়াস ও মায়ামির ফাকুন্দো ফারিয়াস দুজনেই লক্ষ্যভেদ করেন। টাইব্রেকারের স্কোরকার্ডে ২–২ গোলে সমতা, সেখান থেকে ৪–৪ এবং তারপর মায়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার সিনসিনাটির নিক হ্যাগল্যান্ডের শট রুখে দেন। বেঞ্জামিন ক্রেমাশি এসে গোল করে মায়ামিকে টাইব্রেকারে ৫–৪ ব্যবধানের জয় এনে দেন।
১৮ দিন আগে শনিবার, জুন ৭, ২০২৫