এইচএসসি পরীক্ষার কিছু পরীক্ষা বাতিলের পর শিক্ষা বোর্ডগুলো সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল তৈরি করেছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এই পরিস্থিতি গণমাধ্যমে আসার পর, কিছু শিক্ষার্থী নতুন করে দাবি তুলেছে যে, সবাইকে উত্তীর্ণ, অর্থাৎ অটোপাস করতে হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফল আগামীকাল প্রকাশ করা হবে। কিছু শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে অটোপাসের দাবি উঠেছে, যা যৌক্তিক নয়। অটোপাস হলে যারা কৃতকার্য হয়েছেন, তাদের ফলাফল অবমূল্যায়িত হবে।তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলাম এবং সংশোধিত রুটিনও করা হয়েছিল। তবে কিছু অনভিপ্রেত পরিস্থিতির কারণে কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দিতে হয়েছিল। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখন আগের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এইচএসসির বাতিল পরীক্ষাগুলোর ফলাফল এসএসসির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ের সমন্বয় করে তৈরি করেছে। এটি চূড়ান্ত ফলাফল।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, এবার যারা এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ এসএসসিতে কোনো বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হওয়ার কারণে পরবর্তী বছরে পরীক্ষার সুযোগ নিয়েছে, সেই ফলাফলও বিবেচনা করা হয়েছে। তাই আগামীকাল ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফলে কেউ ফেল করবে বা উত্তীর্ণ হবে না, এই অভিযোগ করা যাবে না।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়, যেখানে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিনের পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করা হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির প্রধান এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, বাতিল পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করতে আমরা দুই পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। প্রথমত, খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া— এসএসসিতে যে বিষয়ে শিক্ষার্থী নম্বর পেয়েছে, সেই বিষয়ে এইচএসসিতে নাম থাকলে তাকে এসএসসির নম্বর দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটি করোনাকালে ফল তৈরিতে যে সাবজেক্ট ম্যাপিং ছিল, সেটি অনুসরণ করে করা হয়েছে। এতে কেউ বঞ্চিত হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
৭ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫