অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল যে, দেশে ডিমের সংকট চলছে। তবে আমদানির খবর প্রকাশের পর ডিমের দাম কিছুটা কমে যায়। এতে স্পষ্ট যে, ডিমের দাম বৃদ্ধি আসলে কারসাজি ছিল। কোনো ধরনের কারসাজি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে
আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, ডিমের প্রাপ্যতায় কোনো বৈষম্য থাকা উচিত নয়। সমাজের শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে যারাই ডিমের চাহিদা রাখে, তাদের সবার জন্য ডিম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে গ্রামীণ নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে হবে। একসময় গ্রামীণ নারীরা নিজেরাই হাঁস-মুরগি পালন করতেন এবং গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন, যা তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার একটি মাধ্যম ছিল। সেই পরিস্থিতি আবার ফিরিয়ে আনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মিডিয়ার ভূমিকাও ডিমের দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, মিডিয়ায় ডিমের সংকট ও দাম নিয়ে এমনভাবে প্রতিবেদন করা হয়, যা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং ভোক্তারাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
তিনি আরও যোগ করেন, কিছু মৌসুমে প্রাকৃতিক কারণে ডিমের উৎপাদন কমে যায়। আবার রমজানের সময় ডিমের ব্যবহার কমে। তাই মজুদ করার পরিবর্তে চাহিদার ভিত্তিতে কোল্ডস্টোরেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া, ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণা করারও দাবি জানান উপদেষ্টা।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদা আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর এবং ওয়াপসার সভাপতি মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।
১০ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫