কুমিল্লার দাউদকান্দিতে প্রতিপক্ষের হামলায় রাহেজুল আমিন বাধঁন(৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বাশরা গ্রামে এ হামলায় আরো ৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহত রাহেজুল আমিন বাধন বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেনল ও কিশোর গ্যাংয়ের হোতা ওই গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে। সে নোয়াখালী জেলা পুলিশের বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, রবিবার সকালে বাশরা
নিহত বাধনের ভাবি আয়েশা আক্তার বলেন, দক্ষিন পাড়ার হাসেম, রুবেল ও মানিকসহ ২০/২৫ জনের সন্ত্রাস বাহিনী রামদা, হকিস্টিক লোহার পাইপ নিয়ে আমাদের বাড়ীতে হামলা করে। তাদের ভয়ে আমার দেবর বাধন পাশের রফিক কাকার দালানে আশ্রয় নেয়। সেখানে গিয়েও তাদের হাত থেকে বাচতে পারেনি। এসময় সন্ত্রাসীরা আমাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
দালানের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাধন আমার বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা রুমের দরজা জানালা ভেঙ্গে আতংক সৃষ্টি করে এবং তাকে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বিল্ডিংয়ের সামনে ফেলে রাখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার লোকজন জানান, বাঁধনের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠছিল। কোনো জমি-জামা, দালান নির্মান ও অনুষ্ঠান করলেই তার কিশোর গ্যাংকে চাঁদা দিতে হতো। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই উল্টো হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো। তার হয়রানির শিকার বাসরাসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন বাধনের অত্যাচার থেকে বাচতে এবং তার বিচার দাবী করে ২০২১ সালের ১৭ আগষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুটিয়া এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
দাউদকান্দি গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থল থেকে বাধনসহ তার পরিবারের আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত গৌরীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হলে সেখানে বাধন মারা যায়। বাধন পুলিশের কনস্টেবল পদে নোয়াখালী জেলা পুলিশে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন অভিযোগের প্রায় দুই বছর আগে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ ৭টি মামলা রয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। পাশাপাশি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫