পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দুনিয়ার কারও নেই। বাজার নিজেকেই নিজে নিয়ন্ত্রণ করে। বাজারে চাহিদা ও যোগানের ঘাটতি আছে। তাই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। এ কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।’
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাজার তদারকিতে দুর্বলতা আছে সরকারেরও। দাম বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি অভিযান চালিয়েও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই অস্থির দেশের নিত্যপণ্যের বাজার। এরপ্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে। বর্তমানে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ হলেও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২.৩৭ শতাংশে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, শ্রীলঙ্কা ভালো করুক, আমরাও ভালো করতে পারব। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আকারে আমাদের অর্থনীতির ১০ ভাগের এক ভাগও নয়। কিছু সূচকে শ্রীলঙ্কা আবার আমাদের চেয়ে এগিয়ে। শ্রীলঙ্কা যদি ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকে, ভালো। আমি প্রশংসা করি। আমরাও ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, দাঁড়াব। ভয় বা সংকটের কোনো বিষয় নেই।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি উদীয়মান। এ ধরনের অর্থনীতিতে কিছু বিকৃতি থাকবেই, লাভ বা মুনাফার সুযোগ নেবেই। এটা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ামক সংস্থাকে বিধিবিধান প্রয়োগ করতে হবে। আইনে যা আছে, সেটাকে মাঠে নেমে প্রয়োগ করতে হবে। এখানে কিছু ঘাটতি মাঝেমধ্যে হয়ে যায়। কয়েকটা নিয়ামক সংস্থা আছে, একেবারে নতুন। তাদের তো দাঁত গজাতে হবে। তারা আস্তে আস্তে অভিজ্ঞ হচ্ছে, কাজ করছে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট ধরা যায় না, অধরা থেকে যায়। তবে তা সাময়িকভাবে বাজারের ভেতরেই থাকতে পারে। সিন্ডিকেট হয়, সিন্ডিকেট ভাঙে, আবার নতুন সিন্ডিকেট হয়।’
৯ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫