ওয়াশিংটনে আজ শুরু হচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বসন্তকালীন বৈঠক। ১০ থেকে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক। কিন্তু এই বৈঠকে যাচ্ছেন না বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বরং তাঁর পরিবর্তে এই বৈঠকে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বিশ্বের ১৮৮টি দেশের অর্থমন্ত্রী ও গভর্নর
এতে অংশ নিলেও বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী সম্মেলনে যোদ দেননি।এই নিয়ে তৃতীয় বারের মত এরকম আন্তর্জাতিক বড় পরিসরের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকলেন। এর আগে বিশ্বব্যাংকের সাথে বার্ষিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। পরবর্তি সোময়ে আইএমএফ এর প্রতিনিধি দল যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন তখনও শুধুমাত্র একটি সৌজন্য সাক্ষাত করেই দায়িত্ব এড়িয়ে ছিলেন অর্থমন্ত্রী কামাল। যদিও অর্থমন্ত্রী এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সেই ব্যাখ্যাটিও গ্রহণযোগ্য না। তিনি বলেছিলেন যে ‘আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় নেতৃত্ব দিতে দায়িত্ব দিলাম গভর্নরকে। চিন্তা করলাম এতে আমার না গেলেও কোন অসুবিধা হবেনা।‘
দেশে যখন অর্থনৈতিক তীব্র সঙ্কট, রেমিট্যান্স ও ডলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে যাওয়া এসবের মাঝে অর্থমন্ত্রীর এরকম অলস সময় ঘরে বসে কাটানো কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যে কোনো পরিস্থিতে শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, বরং বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। সাধারণত মনে করা হয় সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে অর্থমন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রণালয়। অতীতেও আমরা তাই দেখেছি। কিন্তু বর্তমানে অর্থমন্ত্রী দৃশ্যের আড়ালেই থাকেন। কোনো নীতি-নির্ধারণ বিষয়েও তাকে যেমন কথা বলতে দেখা যায় না, তেমনি তাঁর কার্যকরী কোনো ভূমিকাও তিনি নিতে পারেন বলে মনে হয়না। এক কথায় দেশের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট থেকে একদম অদৃশ্য আমাদের অর্থমন্ত্রী।
বর্তমানে বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্কট মোকাবিলায় আমরা আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছি। সেই ঋণের শর্তপূরণ আমরা কতটুকু করতে পারছি কি না পারছি সেইটা নিয়ে নানান আলোচনা চলছে। এইদিকে আমদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতি নিয়েযে আশঙ্কা ও উৎকণ্ঠা এর মধে অর্থমন্ত্রীকে সবাই জাতির অভিভাবক হিসেবে দেখতে যায়।, এইসব সঙ্কট বিষয়ে তাঁর মুখ থেকে শুনতে চায়। কিন্তু তিনি এইসব নিয়ে কোনো কথাই বলেন না। বরং অর্থমন্ত্রী কোথায় থাকেন কিংবা কি করেন তা এখন একটি বড় প্রশ্ন।
সূত্র: বা.ইন।
১০ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫