আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ১১ জেলায় প্রায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, বা প্রায় ১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালী জেলায়, এবং সরকারি খাতের তুলনায় বেসরকারি খাতে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কার্যালয়ে "পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি
ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া: সিপিডির বিশ্লেষণ" শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামাল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, আর সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন উপস্থাপনা করেন।
মূল প্রবন্ধে সিপিডি জানায়, সাম্প্রতিক বন্যায় বেসরকারি বা ব্যক্তিখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা মোট ক্ষতির ৫৩ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৬৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান। অন্যদিকে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নোয়াখালী জেলায় সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যা মোট ক্ষতির ২৯ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। কুমিল্লায় ক্ষতির পরিমাণ ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, ফেনীতে ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ, এবং চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সিপিডির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নোয়াখালী, কুমিল্লা, এবং ফেনীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশ অসমানভাবে হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এই ক্ষতির পরিমাণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। জিডিপির নিরিখে, এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের খসড়া জিডিপির শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অনুমিত জিডিপির শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ।
২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হওয়া এই বন্যা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানির কারণে সৃষ্টি হয়েছিল, যা পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা—সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়—মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি করে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়ের অভাব ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ত্রাণ বিতরণে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা থাকা উচিত ছিল কি না, তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিছু ব্যক্তি একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছেন, আবার অনেকে কোনো ত্রাণ পাননি।
১৫ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫