কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) সংসদীয় আসনের সাংসদ মুনতাকিম আশরাফ টিটুর মনোনয়ন বাতিলের নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ অভিযোগ এনে স্বচ্ছ ও অবাধ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত অধ্যাপক আলী আশরাফের সন্তান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্তাকিম আশরাফ টিটু।
শনিবার ( ২ ডিসেম্বর ) দুপুরে চান্দিনায় সংবাদ
তিনি আরো বলেন, এখনো প্রতীক বরাদ্দ হয়নি। শুরু হয়নি আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। এর আগেই আমার লোকজনের উপর হয়রানি হামলা ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন শুরু হয়েছে। আমার পক্ষে কাজ করায় মহিচাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলামের উপর হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে । এ সময় তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়। স্থানীয় মানুষ ছুটে আসায় মফিজুল ইসলাম প্রাণে রক্ষা পায়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হুমকি প্রদান, আমার লোকজনের ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট বন্ধ করা, বিভিন্ন পরিচয়ে ডেকে নিয়ে আমার সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য হুমকি প্রদান অব্যাহত রয়েছে , এভাবে সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, এর আগে ৭ নভেম্বর চান্দিনার মহিচাইলে আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিল করার প্রাক্কালে এমপি প্রাণ গোপাল মুঠোফোনে আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে হুমকি দেন। ওই সময় সাংসদ ডা. প্রাণ গোপাল মুঠোফোনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে বলেন-টিটুর (চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুন্তাকিম আশরাফ টিটু) কি মিছিল বের করতাছো মহিচাইল বাজারে ? তখন মফিজুল ইসলাম উত্তরে বলেন- টিটুর না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিছিল বের করতাছি। তখন এমপি প্রাণ গোপাল আবার বলেন- মিছিলে টিটুর নাম উচ্চারিত হয়, একবারও যাতে না শুনি। টিটুর নামে যদি কোন শ্লোগান হয়, তাহলে এটার জবাব আমি তোমার কাছ থেকে নিবো। এটা আমার শেষ কথা। টিটুর নামে কেন শ্লোগান দিবা ? তখন মফিজুল ইসলাম বলেন- টিটু তো আওয়ামীলীগ করে, আমি আওয়ামী লীগ করি এবং আপনি আওয়ামী লীগ করেন। আমি এখনো দলেই আছি। আমার অপরাধটা কি ? তখন এমপি ডা. প্রাণ গোপাল রাগান্বিত হয়ে বলেন- অপরাধটা টের পাইবি, টের পাইবি, আমি আসতাছি কিছুক্ষণ পরেই। এই বলে ফোন কেটে দেন এমপি ডা. প্রাণ গোপাল।
এছাড়া মফিজুল ইসলামের উপর হামলার নেতৃত্বদানকারি শাহজাহানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের স্ট্যাটাস এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়েছে। শাহজাহানের ফেসবুক স্ট্যাটাস হল: “ ৭ দিন সময় যারা আওয়ামী লীগ করেন, বরকইট ইউনিয়নের নৌকার পক্ষে কাজ শুরু করেন, না হয় ভয়াবহ অবস্থা হবে ।”
এদিকে উপজেলার বাতাঘাষি ইউনিয়নে আমার অনুসারি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করায় খেলা বন্ধ করে দেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্রশাসন । এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। জুয়া-মাদক বন্ধ না করে খেলা বন্ধ করার বিষয়টি সর্বমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, আমি প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি প্রশাসন এ বিষয়গুলো তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. মহিউদ্দিন আলম, সহ-সভাপতি শাহাদাত মজুমদার, যুগ্ম সম্পাদক আহমেদ খালেদ, মোখলেসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তুহিন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুন্সী, বারেরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজুসহ আরও অনেকে।
১৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫