মাওলানা সাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক জানান, ইজতেমা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওলামা সম্মেলনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দানের সংঘর্ষ কোনো পক্ষের মধ্যে নয়, এটি ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর একতরফা হামলা।
তিনি
মিডিয়াকে সতর্ক করে বলেন, যদি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়, তবে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।মামুনুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে। তিনি জানান, ওসামা বিন ওয়াসিফের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এর সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম কাকরাইল মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। তারা উভয় পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন এবং সংঘর্ষ বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
এর আগে, গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল ইসলাম (৬৫) এবং বেলাল হোসেন (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়, বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় এবং তাইজুলের বাড়ি বগুড়া জেলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করেন। জুবায়ের অনুসারীরা আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান নিয়ে সাদপন্থীদের প্রবেশ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে মাওলানা সাদের অনুসারী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করেন। এ সময় জুবায়ের অনুসারীরা ফটকে পাহারায় ছিলেন। তাদের সরিয়ে সাদপন্থীরা ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন এবং ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫