ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির প্রার্থীতার বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারী নারী শিক্ষার্থীকে শিবির নেতা কর্তৃক প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্থা এবং শিবিরের নেতাকর্মীদের দ্বারা সারাদেশে নারী শিক্ষার্থীদের নিপীড়নের প্রতিবাদে রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে আব্দুল কাইয়ুম চত্বর ও প্রশাসনিক ভবনে হয়ে মূল ফটকে এসে শেষ হয়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ফার্মেসি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন,"এই বিষয়টিকে আমি অবশ্যই নেতিবাচকভাবে দেখছি। কারণ জুলাই-আগস্টে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থী তখন একটি দাবি তুলেছিল যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্ররাজনীতি চলবে না। সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় করেছে যে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের ছাত্ররাজনীতি চলবে না। এখন কেউ চাইলে বাইরে করতে পারে। কিন্তু যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কেউ করে, তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতির সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আজকের ঘটনার পেছনে আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো না কোনো ইন্ধন রয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন প্রোগ্রাম করছে, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের নিষেধ করেনি। এটি ধীরে ধীরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করবে।"
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক আল নাহিয়ান বলেন, "ছাত্রদল যদি ফ্রেমিং ও ট্যাগিং ব্যতিরেকে নারী হয়রানির প্রতিবাদে আন্দোলন করে থাকে, তাহলে সেটি যৌক্তিক এবং সমর্থনযোগ্য। তবে সেই প্রতিবাদ অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় কিংবা ক্যাম্পাসের সীমানার বাইরে হতে পারত। ক্যাম্পাসে দলীয় পরিচয়ে যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক যেকোনো আন্দোলনকেই আমরা সন্দেহের চোখে দেখি এবং পরবর্তীতে এটিকে ছাত্ররাজনীতির প্রতিষ্ঠার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করি।"
ছাত্রদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জানান দিতে ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদে করেছি। অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করিনি। ছাত্রদলের ব্যানারে করেছি কারণ এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ছিল। অছাত্ররা থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই সাধারণ শিক্ষার্থী ছিল।
প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম বলেন, আমাদের থেকে কেউ অনুমতি নেইনি। যেহেতু ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ তাই তাঁরা কেন বিক্ষোভ করেছে এটা আমরা আগামীকাল তাদেরকে ডেকে জানতে চাইবো।
এর আগে গত বছরের ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতে ১০০তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।
৪ দিন আগে শনিবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫