নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুস্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদল থেকে একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার পরিকল্পনা করায় দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রীসহ চার মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। গতকাল শনিবার তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে করে বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন জোট।
গত শুক্রবার প্রচণ্ড জানান, তিনি বিরোধীদল নেপালি কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) থেকে রাম চন্দ্র পৌদেলকে প্রেসিডেন্ট
তবে এই সিদ্ধান্তের কোনো কারণ জানাননি প্রচণ্ড। যদিও নেপালি কংগ্রেস পার্টি এর আগে প্রচণ্ডর মাওবাদী সেন্টার পার্টিরই মিত্রদল ছিল। প্রচণ্ড তার সিদ্ধান্ত জানানোর পর এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন উপপ্রধানমন্ত্রী রাজেন্দ্র। তার সঙ্গে পদত্যাগ করেন নগর উন্নয়নমন্ত্রী, আইনবিষয়ক মন্ত্রী এবং একজন কনিষ্ঠ মন্ত্রীও।
প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডর কার্যালয় চার মন্ত্রীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে জানিয়েছে। তবে তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রাজেন্দ্র বলেন, ‘যে জোটের অধীনে আমরা সরকারে যোগ দিয়েছিলাম তা আর অখণ্ড নেই। সরকারে আমাদের থাকাটা আর ঠিক হবে না।’
রাজনীতি বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, মন্ত্রীদের পদত্যাগে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যায় পড়বে না প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের সরকার। কারণ, এখনো পার্লামেন্টে তার সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তবে যে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে নতুন একটি জোট গঠিত হতে পারে।
আগামী ৯ মার্চে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চলেছে নপাল। এই পদটি অলঙ্কারিক। পরোক্ষভাবে এই নির্বাচন করা হয়ে থাকে। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্য এবং সাতটি প্রদেশের বিধানসভা সদস্যদের নিয়ে তৈরি ইলেক্টোরাল কলেজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়।
নেপালে ২০০৮ সালে ২৩৯ বছর পুরোনো রাজতন্ত্র অবসানের পর থেকে ১১ বার সরকার বদল হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ভয় পাওয়ায় দেশটিতে শত শত কোটি ডলারের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।
২৩ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫