কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ১০ বছরের শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দুজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক। এছাড়া আসামীদের ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে আদালত।
এডভোকেট নিশাত সালাউদ্দিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের মৃত. লাল মিয়ার ছেলে
বাচ্চু মিয়া ও একই গ্রামের মৃত. মোস্তফা ভূইয়ার ছেলে আমীর হামজা।নিহত শিমু আক্তার হাতিমারা মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (৮ নভেম্বর) আদালত এ রায় প্রদান করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিগত ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সকালে বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজা হাতিমারা গ্রামের ছায়েদুল হকের বাড়িতে যায় এই ব্যক্তির বড় মেয়ে শারমীন আক্তারকে ধর্ষণ করার লক্ষ্যে। সেখানে গিয়ে শারমীন আক্তারকে না পেয়ে ঘরে ঢুকে তার ছোট বোন শিমু আক্তারকে (১০) দুইজনে মিলে গণধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের পর বটি দা দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করা হয় শিশু শিমুকে। ওই সময় নিহতের মা মৌলভীবাজারে বেড়াতে গিয়েছিল। পরের জমিতে কাজ করা ছায়েদুল হক দুপুরে বাড়িতে ফিরে মেয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ ঘরে পরে থাকতে দেখে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। আসামীরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেয়।
১৩ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫