নাটোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেম, ধর্ষণ ও প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫।
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব। রোববার (৯ জুলাই) রাত ১২টার সময় গোয়েন্দা তথ্য ও বিশেষ প্রযুক্তির ভিত্তিতে জেলার লালপুর থানাধীন গোপালপুর দাইড়পাড়া এলাকা
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বাগাতিপাড়া উপজেলার চন্দ্রখৈর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আফছার সরদারের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (৩১)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রায় ৮ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মিজানুর রহমানের সঙ্গে শহরের চৌধুরীবড়গাছা এলাকার এক কলেজছাত্রীর পরিচয় হয়। এ সময় মিজানুর নিজেকে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয় দেন। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীর ফেসবুক আইডি থেকে কিছু গোপন ছবি সংগ্রহ করে। পরে তাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তাব দেন মিজানুর। এতে রাজি না হলে ওই ছাত্রীর গোপন ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
এদিকে ছবি ফেরত দেওয়ার কথা বলে গত ১২ মে বেলা ১১টার সময় মিজানুর রহমান ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে ধর্ষণ করে এবং তার কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে গত ১৪ মে ভুক্তভোগী ছাত্রীর কাছে ফের ২০ হাজার টাকা দাবি করে মিজানুর। এ অবস্থায় তার স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে তাকে ১৩ হাজার টাকা দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষণ ও প্রতারণা করে ছদ্মবেশ ধারণ, মিথ্যা তথ্য উপাত্ত পাঠিয়ে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগ এনে নাটোর সদর থানায় মিজানুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন জানান, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মিজানুর রহমানকে সিপিসি-২, নাটোর, র্যাব-৫ এর একটি আভিযানিক দল বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জেলার লালপুর থানাধীন গোপালপুর দাইড়পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও দুটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
১৪ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫
.jpeg)
