রাষ্ট্রপতি ভোটের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল (১২ ফেব্রুয়ারি)। কিন্তু এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন ফরম নেয়নি। ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগও এখন পর্যন্ত কারো মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করেনি। এর আগে গত মঙ্গলবার সরকার দলের সংসদীয় সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি। বরং সেদিন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে একক ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার
ওপর ছেড়ে দেয় সংসদীয় দলের সদস্যরা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ফলে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এখন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করবেন।আওয়ামী লীগের দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের জন্য আলাদা কোনো বোর্ড নেই। ফলে রাষ্ট্রপতি চূড়ান্তকরণের বিষয়ে যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাই তিনি যাকে যোগ্য বিবেচনা করবেন দল তাকেই মেনে নেবেন। এছাড়া বিরোধী দল ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। আর সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। তাই আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দিবে তিনি যে রাষ্ট্রপতি হবেন এটি নিশ্চিত। কারণ চলতি সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা আছে। ফলে আওয়ামী লীগ যাকে প্রার্থী মনোনয়ন করবে তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাষ্ট্রপতির মনোনয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত কারো নাম প্রকাশ না করলেও পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের নাম বেশ আলোচনা রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, রাষ্ট্রপতি পদে তার মনোনয়ন ঘোষণা শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি মাত্র। মশিউর রহমান আওয়ামী লীগ সভাপতির অত্যন্ত আস্থাভাজন, বিশ্বস্ত একজন ব্যক্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর কর্মজীবনের সততা এবং বুদ্ধিদীপ্ততা নিয়ে কোন রকম সংশয় নেই। তিনি সব সময়ই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে বিবেচনার অনেকগুলো যৌক্তিক কারণ আছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ড. মশিউর রহমান একজন কৃতি আমলা। সিএসপি হিসেবে তিনি সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি তার চাকরি জীবনে নানা বাক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সময় কাটান এবং নিজেকে অর্থনৈতিক বিষয়ে একজন বোদ্ধা আমলা হিসেবে প্রমাণিত করেন। ড. মশিউর রহমান ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি ইআরডি সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করলেও মশিউর রহমানকে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৮ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫