Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

লিড নিউজ

এই নির্বাচনের পরই আরেকটি নতুন নির্বাচন?

ডেস্ক রিপোর্ট:
২২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ জানুয়ারি। তবে এই নির্বাচন-ই শেষ কথা নয়—এমন গুঞ্জন রয়েছে সুশীল সমাজ এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে। তারা মনে করছেন যে, এই নির্বাচন হবে সংবিধান রক্ষা এবং আনুষ্ঠানিকতার নির্বাচন। এরপর আসল সমঝোতা হবে এবং একটি নতুন নির্বাচন হবে। সেই নতুন নির্বাচনের মাধ্যমেই চূড়ান্ত ফয়সালা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক মহল যে রাজনৈতিক সমঝোতার উদ্যোগ গ্রহণ

করছে সেই উদ্যোগের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নির্বাচনের পরবর্তীতে সমঝোতা।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, নির্বাচনের আগে একটি সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু সেই সমঝোতার উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। সফল না হওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপিরও ভূমিকা রয়েছে বলে বিদেশি কূটনীতিকরা মনে করে। এখন বাংলাদেশে একটি নির্বাচন হওয়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। কারণ সংবিধান অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতেই হবে। এর কোন ব্যত্যয় হওয়া চলবে না। আর এ কারণেই এই নির্বাচনের ব্যাপারে এখন পশ্চিমা দেশগুলো বাধা দিচ্ছে না বলে কোন কোন মহল মনে করেন। তারা বলছেন যে, এই নির্বাচনটি হবে সংবিধান রক্ষার নির্বাচন এবং নির্বাচনের পর সরকার সকল পক্ষকে নিয়ে একটি আলাপ আলোচনা এবং সমঝোতার উদ্যোগ গ্রহণ করবে, যে সমঝোতার কথা ডোনাল্ড লু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলকে দিয়েছিলেন। সেই সমঝোতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে আবার একটি নতুন নির্বাচন হবে যে নির্বাচনটি তাদের ভাষা অংশগ্রহণমূলক।

মূলত বাংলাদেশের সুশীল সমাজ এ ধরনের একটি ধারণার প্রবর্তক। তারা বলছে যে, এভাবে নির্বাচন হলে একটি ফলাফল হতে পারে তা হল আওয়ামী লীগের আবার ক্ষমতায় আসা এবং এই নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হীন। এখানে জনগণের অভিপ্রায়ের কোন প্রতিফলন ঘটবে না। এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহল যেন মেনে না নেয় সে জন্যই তারা বিভিন্ন মহলে দেন দরবার করছে।

তাহলে সমাধান কি? এরকম একটি প্রশ্নের উত্তরেই সুশীল সমাজ বিভিন্ন দূতাবাসকে বলছে যে, এই নির্বাচনটি হয়ে যাক। নির্বাচনের পরে সরকারের ওপর বিভিন্ন রকম চাপ দেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন রকমের সতর্কবার্তা এবং নিষেধাজ্ঞা প্রদানের মাধ্যমে সরকারকে আবার একটি রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য বাধ্য করা যেতে পারে। এরকম রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচনের পথ মুক্ত হতে পারে।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৪ সালেও এরকমই একটি সমঝোতা হয়েছিল, যে সমঝোতার প্রধান কথা ছিল যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন যেন শেষ পর্যন্ত হয়ে যায়। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর একটি রাজনৈতিক সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হবার পরও ওই সংসদ পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করেছে। এখন যদি আবার নির্বাচন হয়ে যায় তাহলে আরেকটি সমঝোতা বা স্বল্প সময়ের মধ্যে আরেকটি নতুন করে নির্বাচন কি আদৌ সম্ভব? এ রকম প্রশ্নের জবাবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছেন যে, এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন বিভিন্ন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল সরকারের ওপর নজর রাখছে, চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে সবকিছু নির্ভর করছে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন কিভাবে হয়। নির্বাচনে যদি কোনরকম ত্রুটি বিচ্যুতি হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারকে একটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি একটি নতুন নির্বাচন দিতে বাধ্য করাটাও অসম্ভব নয়।

সূত্র: বা.ইন।

২২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন