Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

লিড নিউজ

দিল্লিতেই চূড়ান্ত হবে বাংলাদেশের নির্বাচন কৌশল

ডেস্ক রিপোর্ট:
২৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভারতে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সম্মেলনে যোগ দিবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ আরো বিশ্বের প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতৃবৃন্দ। এখানেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি এবং

কৌশল চূড়ান্ত হবে বলে একাধিক কূটনীতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে তার মনোভাব জানাবে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অবস্থান সম্পর্কেও নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ চূড়ান্ত করা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ভারত একটি রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে। জি-২০ সম্মেলনের যে সমস্ত প্রভাবশালী দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা যোগদান করবেন তাদেরকে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন ভারতের কূটনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এই আলোকেই সকলের সম্মতি আদায় করা হবে এবং সকলেই বাংলাদেশ ইস্যুতে অভিন্ন অভিমত ব্যাখ্যা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রগুলো বলছে যে, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা এবং রূপরেখা তৈরি করেছে তাতে বলা হচ্ছে:

১। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে দেশটির বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেই প্রক্রিয়ায়।

২। নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

৩। নির্বাচনে যেকোন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ বা বর্জন করতে পারে। তবে দেখতে হবে যে যারা অংশগ্রহণ করছে তাদের মধ্য থেকে জনগণ যেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারে। অর্থাৎ নির্বাচনে ভোট গ্রহণকে যেন কেউ প্রভাবিত না করতে পারে।

৪। নির্বাচনে পর্যাপ্তসংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবেন এবং তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

৫। নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিকতা যেন রক্ষা হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও ভারত মনে করে যে বাংলাদেশের নির্বাচনের এমন কেউ যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে যাতে এই অঞ্চলের জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উত্থান ঘটে এবং সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এর আগেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতের কূটনীতিকরা আলাপ-আলোচনা করেছে এবং দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অবস্থান নীতিগতভাবে মেনে নিতে পারে। তবে কেউ কেউ মনে করেন ভারতের অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত পুরোপুরি একমত নয়। বরং এই জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে বাংলাদেশের ব্যাপারে তার মনোভাব জানিয়ে দেবে।

তবে ভারতের প্রস্তাব গৃহীত হোক কিংবা না হোক, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সর্বশেষ বড় ধরনের কূটনৈতিক সম্মেলন। এর পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন। তবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বড় পটভূমিতে আলাপ-আলোচনা বা সমঝোতার ক্ষেত্র খুবই কম বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন