Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

অর্থনীতি

দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট:
২০ দিন আগে বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫
# ফাইল ফটো

দেশে দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের হার কমেছে। দেশে এখন দরিদ্র জনগোষ্ঠী ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া হতদরিদ্রের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে।

বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। রাজধানীর আগারগাঁও-এ পরিসংখ্যান ভবনে অনুষ্ঠিত ‘খানার আয় ব্যয় জরিপ ২০২২’-এর ফলাফল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান।

২০১৬

সালের পরিসংখ্যানে দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ওই বছর হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে সাত বছরের ব্যবধানে দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী কমেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লী অঞ্চলে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ দরিদ্র রয়েছে।

২০১৬ সালের পর এ সম্পর্কিত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বিবিএস। সংস্থাটির সর্বশেষ ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০১৬’ প্রকাশ করেছিল।

২০২২ সালের জরিপে দেখা যায়, আয়ের জন্য গিনি সহগের মান শূন্য দশমিক ৪৯৯, যা ২০১৬ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৪৮২ এবং ২০১০ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৪৫৮। এতে দেখা যায় বৈষম্য বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২২ সালে ভোগব্যয়ের জন্য গিনি সহগের মান শূন্য ৩৩৪ যা ২০১৬ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৩২৪ এবং ২০১০ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৩২১।

প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থায় খানার (পরিবার) অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রায় ১৪ দশমিক ১ শতাংশ খানার (পরিবার) অন্তত একজন সদস্য জরিপের আগের ১২ মাসে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন যা ২০১৬ সালে (৭ দশমিক ৫ শতাংশ) ও ২০১০ সাল (৭ দশমিক ৪ শতাংশ) এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এতে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থায় খানার অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ বছর ও তার ঊর্ধ্বে বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৪ শতাংশ যা ২০১৬ ও ২০১০ সালে ছিল ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৫৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। অর্থাৎ, সাক্ষরতার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

খানার (পরিবারের) মাসিক আয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। দেশে বর্তমানে (২০২২) খানার গড় মাসিক আয় আগের তুলনায় বেড়ে ৩২ হাজার ৪২২ টাকা হয়েছে , যা ২০১৬ সালে ছিল ১৫ হাজার ৯৮৮ ও ২০১০ সালে ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস-এর মহাপরিচালক মো.মতিয়ার রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ।

২০ দিন আগে বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন