আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন খুলশী থানা এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী।
মামলায় আওয়ামী লীগপন্থি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কাউন্সিলরসহ ২৯ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ,
স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ এবং ইসকন নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক জিনাত সোহানা চৌধুরী, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী শুভ কান্তি দাস।
গত ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন নাকচ করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল ইসলাম। সেদিন তাকে বহন করা প্রিজনভ্যান দুপুর ১২টা থেকে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখেন তার অনুসারীরা।
এসময় লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর পরপরই চিন্ময় অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সাংবাদিকদের অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। প্রতিবাদ জানালে আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় চিন্ময় অনুসারীরা। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আদালত প্রাঙ্গণের কাছাকাছি আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় এবং পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয় তার বাবা ও ভাইয়ের পক্ষ থেকে। বাবার করা হত্যা মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হলেও ভাইয়ের করা মামলায় ১১৬ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এছাড়া চিন্ময় অনুসারী আরও ৬০ জন আইনজীবীকেও আসামি করা হয়েছে।
১৬ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫