ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, পানি সংকট, উৎসুক জনতা ও বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিলম্ব হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে বঙ্গবাজার সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
আগুন নেভাতে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘প্রধান কারণ ছিল উৎসুক জনতা।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এছাড়া বাতাসের কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে। তাছাড়া পানি স্বল্পতার কারণে অভিযানে বেগ পেতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল এই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ আকারে আমরা ঘোষণা করেছিলাম। এ সংক্রান্ত ব্যানারও টানিয়েছি। এরপর আমরা দশবার নোটিশ দিয়েছি। বলেছি, এই ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের করণীয় যা যা ছিল তা আমরা করেছি। তারপরেও এখানে ব্যবসা চলছিল।’
মাইন উদ্দিন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও ওয়াসাসহ অনেক বাহিনী ও সংস্থা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আশা রাখি আগুন আর ছড়াবে না। কিন্তু নির্বাপন করতে আমার আরেকটু সময় লাগবে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর (এফএসসিডি), ভলেন্টিয়ার ও র্যাব।
১৬ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫