বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড হয়েছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শুক্রবার প্রতি আউন্স (৩১.১০৩ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৭০০ ডলার অতিক্রম করেছে।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে বাড়ার ফলে দেশের বাজারেও শিগগিরই সোনার মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে। এতে করে দেশে সোনার দামে নতুন রেকর্ড তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকার
ওপরে বিক্রি হচ্ছে।বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৬৮৮ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার। শুক্রবার তা বেড়ে ২ হাজার ৭০৪ দশমিক ৮৯ ডলারে পৌঁছেছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অস্থিরতার কারণে ব্যবসায়ীরা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন, ফলে সোনার দাম আরও বাড়ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছাড়াও সোনার মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ হলো মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বড় আকারে কমানোর সম্ভাবনা। এসব কারণে বছরের শুরু থেকে সোনার দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে সোনার দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ৭ জুন প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ২৯৩ ডলার। এরপর ক্রমান্বয়ে তা বেড়ে ১৬ জুলাই ২ হাজার ৪৬৮ ডলারে পৌঁছায়।
এখানেই সোনার দাম বৃদ্ধির প্রবণতা থামেনি। ২০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার অতিক্রম করে। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর সোনার দাম ২ হাজার ৬৮২ ডলারে ওঠে।
২০১০ সালের পর সোনার দাম এতটা বাড়েনি। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলমান সংঘাত ও অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা সোনার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
বিশ্ববাজারে এই মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) এক সদস্য জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে সোনার দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বৃদ্ধি প্রয়োজন। এ নিয়ে বাজুসের সংশ্লিষ্ট কমিটি শিগগিরই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।
২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫