মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত সকল পণ্যের উপর ১০% শুল্ক আরোপ করেছেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারসহ বেশ কয়েকটি দেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই নতুন শুল্ক নীতি ঘোষণা করেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ
থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক হার বেড়ে ৩৭% নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বে বাংলাদেশি পণ্যে গড়ে ১৫% শুল্ক প্রদান করতে হতো।যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৮.৪ বিলিয়ন ডলার, যার বেশিরভাগই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলার। এই নতুন শুল্ক হার বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
এই দিনটিকে "যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস" হিসেবে আখ্যায়িত করে ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, "কয়েক দশক ধরে আমাদের দেশকে বিভিন্ন দেশ লুটপাট, শোষণ ও ধ্বংসের শিকার করেছে। বিদেশী শক্তিগুলো আমাদের আমেরিকান স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে।"
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, ভারতীয় পণ্যের উপর ২৬%, পাকিস্তানি পণ্যের উপর ২৯% এবং চীনা পণ্যের উপর ৩৪% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর ২০%, ভিয়েতনামের পণ্যের উপর ৪৬%, শ্রীলঙ্কার পণ্যের উপর ৪৪%, তাইওয়ানের পণ্যের উপর ৩২%, জাপানের পণ্যের উপর ২৪%, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের উপর ২৫%, থাইল্যান্ডের পণ্যের উপর ৩৬%, সুইজারল্যান্ডের পণ্যের উপর ৩১%, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যের উপর ৩২%, মালয়েশিয়ার পণ্যের উপর ২৪%, কম্বোডিয়ার পণ্যের উপর ৪৯%, যুক্তরাজ্যের পণ্যের উপর ১০%, দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্যের উপর ৩০%, ব্রাজিলের পণ্যের উপর ১০%, সিঙ্গাপুরের পণ্যের উপর ১০%, ইসরায়েলের পণ্যের উপর ১৭%, ফিলিপাইনের পণ্যের উপর ১৭%, চিলির পণ্যের উপর ১০%, অস্ট্রেলিয়ার পণ্যের উপর ১০%, তুরস্কের পণ্যের উপর ১০%, কলম্বিয়ার পণ্যের উপর ১০% শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়াও মিয়ানমারের পণ্যের উপর ৪৪%, লাওসের পণ্যের উপর ৪৮% এবং মাদাগাস্কারের পণ্যের উপর ৪৭% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
১৬ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫