‘আগামী ৬ মাস বিশ্বের জন্য কঠিন সময়।তবে ভালো থাকবে উপসাগরীয় দেশগুলো। বুধবার রিয়াদের ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফোরামের বক্তব্যে এ ভবিষ্যদ্বাণী করেন সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান। আরব নিউজ।
বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিতিশীল দশা উল্লেখ করে আল-জাদান বলেন, দেশে দেশে এখন এমন এক সময় চলছে যখন মূল্যস্ফীতির মতো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বেশিরভাগ দেশ। প্রায় সব
এটি বিশ্বে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে এবং আমরা এখন এটাই করছি। সৌদি অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, ম্যাক্রো-ফাইন্যান্স এবং বিনিয়োগের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং পূর্বাভাসযোগ্যতা প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব এখন যে কয়েকটি গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার মধ্যে জলবায়ু একটি। শুধুমাত্র এক দেশের প্রচেষ্টায় এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সব দেশের সহযোগিতা করা উচিত। সম্মেলনে বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী শেখ সালমান বিন খলিফা আল-খলিফা সৌদি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলান। তিনি বলেন, বিশ্ব বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ইউরোপে সংঘাতের কারণে সাপ্লাই চেইনের ব্যাঘাত ঘটেছে। আর এতে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এখন সারা বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ছে। এটি একটি বড় সমস্যা। তবে শিপিং খরচ হ্রাস পাওয়াকে বড় ইতিবাচক দিক বলে উল্লেখ করেন বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী। লিবার্টি স্ট্র্যাটেজিক ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা অংশীদার স্টিভেন মুচিন বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা জাতীয় নিরাপত্তার একটি অংশ। আমি বিশ্বাস করি যে, আগামী পাঁচ বছরে কার্বন হ্রাসের প্রযুক্তিতে অসাধারণ অগ্রগতি দেখতে যাচ্ছি। শুধুমাত্র কার্বন কমিয়ে আনার মাধ্যমেই জলবায়ু পরিবর্তনের স্বল্পমেয়াদি সমাধান সম্ভব। এটি স্পষ্টতই একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং এটি মোকাবিলা করা দরকার।
তেলের জরুরি স্টক ব্যবহার বেদনাদায়ক হতে পারে -সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী : যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে সৌদি আরবের জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান বলেছেন, কেউ কেউ তাদের তেলের জরুরি স্টক ব্যবহার করছে। এর উদ্দেশ্য হওয়া ছিল বাজারের সরবরাহের ঘাটতি সামলানো। তা না করে অনেকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এটি করছে। এর পরিণতি তাদের জন্য বেদনাদায়ক হতে পারে। মঙ্গলবার রিয়াদে ফিউচার ইনিশিয়েটিভ ইনভেস্টমেন্ট (এফআইআই) সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, এটা স্পষ্ট করা আমার দায়িত্ব যে জরুরি স্টক হারানো আগামী মাসগুলোতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য বেদনাদায়ক হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে জ্বালানি তেলবিষয়ক একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ দেশের জরুরি তেল রিজার্ভ থেকে ঘোষিত বাকি অংশ বিক্রি করা হবে। আগামী ৮ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে জ্বালানির উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই মূলত এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়েই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন সৌদি মন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ জ্বালানি বাণিজ্যের সম্পর্ক কীভাবে আবারও ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা যায় সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রিন্স আব্দুল আজিজ বলেন, সৌদি এখন পরিপক্ব হওয়ার পক্ষ বেছে নিয়েছে। আমরা শুধু শুনতে থাকি, আপনারা আমাদের পক্ষে আছেন নাকি আমাদের বিপক্ষে। আমরা সৌদি আরবের জনগণের সঙ্গে আছি। এর কি কোনো বিকল্প জায়গা আছে?
২৫ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫