বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা গুলি চালিয়ে, সমাবেশ বন্ধ করে, ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় শেখ হাসিনা শেষ ধাক্কায় পালিয়ে গেছেন। আমরা এতদিনে সেই পটভূমি তৈরি না করলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর সুযোগ হতো না। তখন আমাদের সাথে কেউ ছিল না।’
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর,
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা বারবার জেলে গেছি, আমাদের নেতা-কর্মীরা বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন, চাকরি হারিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু আমরা এসব হিসাব করতে চাই না; বরং আমরা চাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সংসদে নিয়ে যেতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে কখন নির্বাচন হবে, সেটা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়, তাই জাতির সামনে নির্বাচন দ্রুত আনতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমান একসময় বলেন দেশ এক না হলে চলবে না; সেই বয়ানে তিনি দেশ চালিয়েছেন, কিন্তু সেটা টেকেনি। জনসমর্থন ছাড়া কিছু টিকে থাকে না।’
আমীর খসরু জানান, ‘৬ বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া সংস্কারের কথা বলেছিলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি নতুন সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবে জনগণের চাহিদার চেয়েও বেশি কিছু রয়েছে। নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে; অনির্বাচিত কারো অধিকার থাকবে না। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘৭ নভেম্বর ছিল সিপাহী-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শহীদ জিয়াউর রহমানের মুক্তির এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সূচনা। সেই ধারাকে অব্যাহত রেখেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, যিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছিলেন।’
খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিস্টরা আমাদের ঐক্য ভাঙতে চাইছে, তবে এই ঐক্য ভাঙা যাবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই ঐক্য অটুট রাখতে হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে গিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিকেল চারটায় চট্টগ্রামের কাজির দেউরি মোড় থেকে শুরু হওয়া বিএনপির র্যালি নগরীর নিউ মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়।
১১ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫
