২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত টানা এক হাজার তিন দিন ধরে চলছে। এই যুদ্ধে দুই পক্ষের বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তবে যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। ইউক্রেন সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার
করে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়া এ ধরনের হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পুতিন। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি কিছু শর্ত দিয়েছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিনের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা ভূখণ্ড নিয়ে বড় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে।
রাশিয়ার সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যদি ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কোনো চুক্তি হয়, তবে ক্রেমলিন ইউক্রেনে সম্মুখসারির যুদ্ধ বন্ধে রাজি হতে পারে। এ ছাড়া পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই চারটি অঞ্চল রাশিয়া বর্তমানে নিজেদের বলে দাবি করে এবং অঞ্চলগুলোর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে খারকিভ ও মিকোলাইভের অল্প যেসব এলাকা রাশিয়ার দখলে রয়েছে, সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হতে পারে ক্রেমলিন। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি না হলে, রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে সূত্র।
২৭ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫