ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছেন ৩৫ হাজার ৪১৮ জন। আহত হয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। ৯ দিন আগে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে দেশ দুটি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিখোঁজদের উদ্ধারের আশাও ফুরিয়ে আসছে। যদিও শেষ সময়ে তুরস্কের আদিয়ামান অঞ্চলে ৭৭ বছরের এক প্রবীণকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ২১২ ঘণ্টা
ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন।এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান ৬ই ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আঙ্কারায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে এরদোগান বলেন, আমরা শুধু আমাদের দেশেই নয়, মানবতার ইতিহাসেও সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছি। তিনি এই ভূমিকম্পকে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
তার কথায়, পরমাণু বিস্ফোরণ হলে এমন ভয়াবহতা দেখা যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ২২ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। হাজার হাজার বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তুরস্কের একাধিক শহরের ভেতর একটি বাড়িও আর সোজা দাঁড়িয়ে নেই। ভূমিকম্পে সমস্ত ধসে পড়েছে। কার্যত এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে দক্ষিণ তুরস্কের বিপর্যস্ত অঞ্চল। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি আরো বেশি সাহায্যের প্রয়োজনের কথা বলেছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্য এবং উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্যেই তুরস্কে গিয়ে পৌঁছেছে।
এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের প্রধান উদ্ধারকারী দল হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, তারা বেঁচে যাওয়াদের অনুসন্ধান শেষ করতে যাচ্ছে। এছাড়া প্রথম থেকেই তুরস্ক ও সিরিয়াকে উদ্ধারকাজে অব্যাহতভাবে সাহায্য করে যাচ্ছিল রাশিয়া। শত শত রুশ সেনাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। দেশটি জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকারীরা এখন নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫