তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আরও পাঁচ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমন শঙ্কা করছেন বলেই আপাতত জানিয়েছেন এরদোগান।
তবে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম নিজস্ব সোর্সের বরাতে
আর যুক্তরাষ্ট্রভিতত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভাটরি ফর হিউমান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৪৬৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও আহত হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ।
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
সবমিলিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৪ শ' ছাড়িয়েছে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এটি স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭.৯ কিলোমিটার। ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। প্রতিবেশি দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় সিসমোলজিস্টরা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৮ ছিল বলে জানাচ্ছেন। তারা বলছেন যে, ভূমিকম্পটি আঘাত হানার কয়েক মিনিট পরেই দ্বিতীয় আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।
তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত। এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।
৪ দিন আগে শনিবার, মে ১০, ২০২৫