অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট মসজিদসংলগ্ন নতুন সচিবালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আজ আমরা একটি ঐতিহাসিক প্রাতিষ্ঠানিক
সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তায় এবং স্টেকহোল্ডার হিসেবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ বছরের যাত্রার পরেও এটি কোনও শেষ নয়; বরং স্থায়িত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জই এখন বড় কাজ।’তিনি আরও বলেন, ‘সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনায় সাংবিধানিক ক্ষমতা এখন আরও সুসংহতভাবে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত হলো। এর সাফল্য যেমন আমাদের, ব্যর্থতাও আমাদেরই মেনে নিতে হবে।’
আগামী নির্বাচিত সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অটুট রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। গত ১৬ মাসে মিডিয়া যে সহযোগিতা দিয়েছে, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতেও আপনারা পাশে থাকবেন বলে আশা করি।’
তিনি বলেন, সচিবালয়ের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন নতুন নতুন কার্যক্রম যুক্ত হবে।
গত ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধস্তন আদালত ও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণসহ বিচারকদের পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা ও ছুটিবিষয়ক সিদ্ধান্তসহ সব প্রশাসনিক ও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে এই সচিবালয়। সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রধান বিচারপতির অধীনে এবং সচিব হবেন এর প্রশাসনিক প্রধান।
১ দিন আগে শনিবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
