Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

লিড নিউজ

রাষ্ট্রপতির বক্তব্য মিথ্যাচার ও শপথ লঙ্ঘনের শামিল : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

ডেস্ক রিপোর্ট:
১৭ ঘন্টা আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫
# ফাইল ফটো




সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যকে মিথ্যাচার ও শপথ লঙ্ঘনের শামিল হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।


সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে বিষয়টি

উপদেষ্টা পরিষদে যাবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।


এর আগে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, তবে এ বিষয়ে তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। সাক্ষাৎকারটি শনিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’-এ প্রকাশিত হয়েছে।


মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র সত্যিই জমা দেওয়া হয়ে থাকে, তবে সেটির একটি অনুলিপি কোথাও না কোথাও থাকা উচিত। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়েও এর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও যোগাযোগ করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র সংরক্ষিত থাকে, কিন্তু সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে সরাসরি এর উত্তর জানার সুযোগ আসে।


রাষ্ট্রপতির ভাষ্যে, ‘আমি বহুবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। হয়ত তার সময় হয়নি।’


কথোপকথনের সময় রাষ্ট্রপতি জানান, ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বঙ্গভবনে ফোন আসে, যেখানে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসবেন। এরপর বঙ্গভবনে প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যে আবার ফোন আসে যে তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না।


রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে জানি না। আমি তো গুজবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারি না। তাই সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে বললাম খোঁজ নিতে। তার কাছেও কোনো খবর নেই। আমরা অপেক্ষা করছি। টেলিভিশনের স্ক্রলও দেখছি। কোথাও কোনো খবর নেই। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমাকে কিছুই বলে গেলেন না।’


তিনি জানান, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন বঙ্গভবনে এলেন তখন জানার চেষ্টা করেছি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না? একই জবাব। শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। মনে হয় সে সময় পাননি জানানোর।’


রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সব কিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি।’


মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বিষয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এবং এটাই সত্য। তবে এই প্রশ্নটি যাতে আর কখনও না ওঠে তা নিশ্চিত করতে তিনি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছেন।


রাষ্ট্রপতির পাঠানো রেফারেন্সের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট এ বিষয়ে তাদের মতামত দেন। এতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীকেও শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন বলে আপিল বিভাগ মতামত দেয়।


সূত্র: চ্যানেল২৪

১৭ ঘন্টা আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন