দুদিনের সফরে খুলনা বিভাগে গেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। সফরের দ্বিতীয় দিনে রামপালে অবস্থিত মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন তিনি।
প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। আর এই অর্থের সিংহভাগ অর্থায়ন এসেছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক থেকে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল
আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সুসজ্জিত এই কেন্দ্রের মোট সক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রথম ইউনিট গত সেপ্টেম্বেরে উদ্বোধন করা হয়। ওই ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত ডিসেম্বরে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টটির ফেইজ-১ উদ্বোধন করেন এবং ইতোমধ্যেই তা বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। প্রকল্পটির ফেইজ-২ শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) মাধ্যমে চলছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এর আগে সফরের প্রথমদিন শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রূপসা রেলসেতু পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। রূপসা রেলসেতুটিও বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া ভারত সরকারের লাইন অব কনসেশনাল ক্রেডিটের (নমনীয় শর্তে ধারাবাহিক ঋণ) মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ১৬৯ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৫ দিন আগে রবিবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫