Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

লিড নিউজ

বাইডেন-মোদি ও শেখ হাসিনার বৈঠকেই নির্ধারিত হবে নির্বাচনের রোডম্যাপ

ডেস্ক রিপোর্ট:
১৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো


আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-টুয়েন্টি সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগদানের লক্ষ্যে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে দিল্লিতে পৌঁছাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ৮ সেপ্টেম্বর  দিল্লি যাবেন।

বিভিন্ন কূটনীতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, ৯ সেপ্টেম্বর জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র

মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকের পর দিনই ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে জো বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন আনুষ্ঠানিক বৈঠক এর সময়সূচী এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময় হবে বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে অন্যান্য বিষয়গুলো সঙ্গে উপমহাদেশে শান্তি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং মনোভাব নিয়ে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত একটি অভিন্ন অবস্থানে থাকতে চাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত অভিন্ন কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে আসছে। সেই কৌশল অনুযায়ী দুটি দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। দুইটি দেশই ২০০৭ সাল থেকে এই নীতি অনুসরণ করে আসছে।  কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে একলা চলো নীতি গ্রহণ করেছে। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং এ নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ব্যাপারেও তারা তাদের অবস্থান বারবার ঘোষণা করছে। এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ধরনের চাপের মধ্যেই আছে বলে অনেকে মনে করে। আবার অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষার পক্ষে। ভারত বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা চায়। কারণ ভারত মনে করে, এই ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে, শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হলে পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ভারত মনে করে, শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দমন করার ক্ষেত্রে যে ভূমিকা রেখেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ভূমিকার জন্যই শেখ হাসিনার সরকারকে স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী রাখা দরকার। বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই দূরত্ব কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নিজেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার পরপরই ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানানো হয়। এখন জো বাইডেন ভারত সফর করছেন এবং এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন। সেজন্য নরেন্দ্র মোদি নতুন করে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে ভারত বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত হবে বলে কোনো কোনো কূটনৈতিক মহল মনে করছেন।

১৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন