Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

লিড নিউজ

ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশকে চায় যুক্তরাষ্ট্র, নিষেধাজ্ঞা বাইপাস করে সহায়তার নিশ্চয়তা চেয়েছে ঢাকা

ডেস্ক রিপোর্ট:
৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো

ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে (আইপিএস) বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর বাংলাদেশের মুখ্য চাওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‌্যাবের ওপর থেকে এখনই নিষেধাজ্ঞা পুুরোপুরি প্রত্যাহার করতে না পারলে অন্তত শিথিল করা। নিষেধাজ্ঞাকে বাইপাস করে হলেও দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর প্রতি মার্কিন সহযোগিতার নিশ্চয়তাও চায় বাংলাদেশ। র‌্যাবের উজ্জ্বল ভূমিকার বিস্তারিত তুলে

ধরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের অনুরোধ করেছে ঢাকা। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনে ফোর্সটির সদস্যরা যে বিচার এবং শাস্তির মুখোমুখি হন, তা তুলে ধরে বলা হয়, আদতে সব ঘটনায় র‌্যাব সম্পৃক্ত নয়। তবে ‘কিল্ড ইন অ্যাকশন’-এ কিছু দুঃখজনক ঘটনা ঘটে, যার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হয়।

সদ্য ঢাকা সফর করে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা (হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর ফর সাউথ এশিয়া) রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচারের সঙ্গে এসব বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা। জানিয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে মিজ লাউবাচারের সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় উপরুল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানে পৌঁছাতে মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।

চারদিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ঢাকা ছেড়ে গেছেন মার্কিন প্রশাসনের প্রভাবশালী কর্মকর্তা মিজ লাউবাচার। ওই সফরের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ সরকারের একজন প্রতিনিধি রাতে  বলেন, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের সমমনা দেশগুলো যেন সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয় সেটাই চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ঢাকাকে এই বার্তা দিয়েছেন যে, আইপিএস-এ এশীয় অঞ্চলের ছোট-বড় সব দেশের মর্যাদা এবং গুরুত্ব হবে সমান।

কারও প্রতি বৈষম্য বা অবহেলা করবে না যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে বাংলোদেশের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিকে যোগদান প্রশ্নে ইতিবাচক অবস্থান ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, আইপিএস নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে অর্থনৈতিক ফ্রন্টে যোগদান, কোনো সামরিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না হওয়া।

মিজ লাউবাচারের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকার প্রতিনিধিরা নিরাপত্তা ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। সামনের দিনে এমন আলোচনা আরও হবে জানিয়ে সেগুনবাগিচার এক কর্মকর্তারা বলেন, মধ্য জানুয়ারিতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা আসছেন। নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বাইডেন দূত মিজ লাউবাচার যেখানে আলোচনাটি রেখে গেলেন লু'র রাজনৈতিক সফরে সেখান থেকে পরবর্তী আলোচনা শুরু হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।

সূত্র: মানবজমিন।

৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন