Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

জাতীয়

নিক্সন চৌধুরীসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট:
২৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো




ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তারিন হোসেনসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।


দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন—জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলাম এবং প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে আলোচিত পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন।


আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম সাবেক এমপি নিক্সন ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিরুদ্ধে, দুদকের সহকারী পরিচালক (মানিলন্ডারিং) এস এম মামুনুর রশীদ সাবেক সচিব খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এবং দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন আবেদ আলীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এসব আবেদন মঞ্জুর করেন।


নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন এবং প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি দুদক পৃথক দুটি মামলা করে। নিক্সনের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, তিনি ও তার স্ত্রী গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তদন্তকাজ চলমান থাকা অবস্থায় তারা দেশত্যাগ করলে সার্বিক তদন্তকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় তদন্তকাজ চলমান থাকা অবস্থায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।


খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, তিনি জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সম্পত্তি জামানত হিসেবে মর্টগেজ দিয়ে বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের কাওরান বাজার শাখা থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে তদন্তাধীন রয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করা আবশ্যক।


আবেদ আলীর বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও (৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

২৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন