কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পেশাদার চোর চক্রের ৩ জন মূলহোতাসহ ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন এলাকা হতে চুরি হওয়া ৫টি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা/টমটম উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সারাদিনব্যাপি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌণে ১২ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত
গ্রেফতার হওয়া চোর চক্রের সদস্যরা হলেন , মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ উপজেলার বেহুতা গ্রামের মো: আনজু আলীর ছেলে মো: সাইদুর ওরফে সহিদুল ইসলাম (৩০) (বর্তমানে কুমিল্লা মহানগরীর শাকতলা এলাকার বাসিন্দা), কুমিল্লার সদর দক্ষিণের শাকতলা দক্ষিণ পাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো: রুবেল(২৮), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার অম্বরপুর গ্রামের আ: রউফের ছেলে মো: শরীফ (৩২), লালমাই থানার বেলঘর ইউনিয়নের সোন্ডা গ্রামের মো: সাইদুল হকের ছেলে শাহ ইমরান ওরফে শাহীন (৩৪), চান্দিনার মহিচাইল এলাকার ছারু মিয়ার ছেলে মো: রুবেল (২৫), চান্দিনার মহিচাইলের সাকোচ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ছাদেক হোসেন (৩৭), চাদঁপুর জেলার কচুয়া উপজেলার কুটিয়া লক্ষীপুরের এবাদ উল্লাহর ছেলে মো: মানিক হোসেন (২৭), কুমিল্লার চান্দিনার ইলিয়টগন্জের মৃত. আরব আলীর ছেলে মো: লিটন (৩২) ও মুরাদনগর উপজেলার দারেরা লক্ষীপুর গ্রামের (বর্তমানে নগরীর শাকতলা একার ভাড়াটিয়া) মৃত. গাছ বেপারী কাশেমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩০) ।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি সদর দক্ষিণের কোটবাড়ির চাঙ্গিণী এলাকার ফজলুর রহমান জুম্মার নামায আদায় করতে গেলে তাঁর ব্যাটারি চালিত অটোরিকসাটি অজ্ঞাতনামা চোরেরা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলার সূত্র ধরে ডিবি পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। এ চোর চক্রের মূলহোতা ৩ জন। তারা হলেন মো: সাইদুর ওরফে সহিদুল ইসলাম, মো: রুবেল ও মো: শরীফ । তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চুরি করে রং পরিবর্তন করে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তনের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলাসহ আশেপাশের জেলায় বিক্রয় করে।
২২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫