কবিতাকে কাজী নজরুল ইসলাম অধিকার আদায়ের মূল হিসেবে নিয়েছিলেন। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কাজ করতো নজরুলের অধিকাংশই কবিতা ও লেখা। প্রেক্ষাপটও ছিল যুগের সাথে তাল মিলানো। বাংলা সাহিত্যকে পূনাঙ্গ রুপ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল। আগে পরে যারা এসেছেন তারা কেউ শুরু করেছেন আর কেউবা ফিনিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে যুগে যুগে বাংলা সাহিত্যে এসেছে মহাকবি ও বিশ্বকবিতা। বিশ্বমানের
পংক্তি লিখেও অমর হয়ে আছেন আরো অনেকে। তবে সকলের চেয়ে মহান ও শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলো লিখে গেছেন সকলেরই প্রিয় কবি, চির প্রেমের কবি, সাম্যের কবি,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) উপমহাদেশে জনপ্রিয় কবি। ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত রচয়িতা হিসেবেও জনপ্রিয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমরা যদি আলাওল ও শাহ মুহম্মদ সগীর থেকে হিসেব করি যুগে যুগে এসেছেন মাইকেল মধূসূদন দত্ত (১৮২৪-৭৩), জীবনানন্দ দাশ(১৮৯৯-১৯৫৪), গোলাম মোস্তফা (১৮৯৭-১৯৬৪), শাহাদাত হোসেন, এস ওয়াজেদ আলী, অমিয় চক্রর্বতী, বুদ্ধদেব বসু, নজিবুর রহমান, সুকান্ত ভট্টাচার্য্য (১৯২৬-১৯৪৭), আবু ইসহাক, পল্লী কবি জসীম উদ্দিন (১৯০৩-১৯৭৬), ফরুরুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪), আহসান হাবীব (১৯১৭-৮৫), মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-৭১), শামসুর রাহমান (১৯২৯০২০০৬), সৈয়দ শামসুল হক, আবদুল গাফফার চৌধুরী (১৯৩৪০২০২১), আল মাহমুদ (১৯৩৫-২০১৯), বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, এস এম আবুল বাশার, ভাষাসৈনিক আবদুল জলিল (১৯৩৬-২০১৯), নির্মলেন্দু গুন, আসাদ চৌধুরী, মহাদেব সাহা, আল মুজাহিদী, হাসান হাফিজ, আসাদ বিন হাফিজ, রেজাউদ্দিন স্টালিন, ড. আলী হোসেন চৌধুরী, আবদুল হালিম খাঁ, রাশেদ রউফ, কাজী রিয়াজুল হাসান, কাজী কাদের নেওয়াজ, আবদুল কাদির (১৯০৬-১৯৮৪), সমুদ্র গুপ্ত, আহমদ ছফা, কামাল চৌধুরী, সালেহ চৌধুরী, আবুল হাসান (১৯৪৭-১৯৭৫), আবুল হোসেন (১৯২২-২০১২), সৈয়দ আলী আহসান (১৯২২-২০০২), শাহীন রেজা, মাহমুদুল হাসান নিজামী, আবদুল মান্নান সৈয়দ, গোলাম মোহাম্মদ, সানাউল হক খান, সাযযাদ কাদির, আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, মতিন সৈকত, এহতেশাম হায়দার চৌধুরী, আবুল হাসানাত বাবুল, অধ্যাপক আবদুল ওহাব, শরীফ আহমেদ অলি, সৈয়দ আহমাদ তারেক, সিরাজুল ইসলাম রাহী মিনু, মোহাম্মদ শামছুল করিম দুলাল (১৯৭৮-২০১৭), আবুল খায়ের মুসলেহ উদ্দিন, জাকির আবু জাফর, ফখরুল হুদা হেলাল (১৯৫৩-২০২১), এবিএম সোহেল রশিদ, ময়ূখ চৌধুরী, আইউব সৈয়দ, দীপ্র আজাদ কাজল, রমিজ খান, গাজী মুহাম্মদ ইউনুস, মুহম্মদ নুরুল হুদা, নাহিন ফেরদেীস, রহিমা আক্তার মৌ, নুরুন্নাহার মুন্নি, লুৎফুন নাহার রহমান, ড. মেহেদী হাসান, ড. একেএম আছাদুজ্জামান, মাসুদা তোফা, জামাল উদ্দিন দামাল, জসীম উদ্দিন অসীম,আহমদ রফিক, রফিক আজাদ, মোহাম্মদ রফিক, রকিব লিখন,সুকুমার রায়, উপেন্দ্র কিশোর রায়, সুকুমার বড়ূয়া, কামাল আবু নাসের চৌধুরী,করুন কুমার দেব রায়, শরীফ আহমেদ গোফরান, সায়েম মাহবুব,আবুল আসাদ, কুসুম কুমারী দাশ, হাসান হাফিজুর রহমান, হাসান আজিজুল হক, হুমায়ুন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২), আনোয়ারা সৈয়দ হক, নবাব ফজুন্নেসা চৌধুরী(১৮৩৪-১৯০৩),সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯), রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ,(১৯৫৬-১৯৯১), মিনার মাহমুদ, আপেল মাহমুদ, খালেদা এদিব চৌধুরী, বন্দে আলী মিয়া, সিকান্দার আবু জাফর, জাকির আবু জাফর, শফিকুল ইসলাম ঝিনুক, তালিম হোসেন, আফসার নিজাম প্রমুখ।বর্তমান সময়ে এসে কবিতা হয়ে গেছে ফেসবুক,টুইটার,ইমু ও হোয়াটসআপ কেন্দ্রিক। অনেকেই কবিতার জন্য সংগঠন করতে কিংবা প্রোগ্রাম করতে করতেই ক্লান্ত। কবিতা লিখার সময়ই পায় না অনেকে। ইদানিংকালের সমসাময়িক কিছু সংখ্যক কবির নাম লিখতে গেলে বলতে হয়, ইমরান মাহফুজ, ফারুক শাহরিয়া, ফারুক আল শারাহ, আরিফুল হাসান, তাসলিমা লিয়া, মুকুল মজুমদার, এইচ এম আজিজুল হক, আহমেদ ইউসুফ, রোকসানা সুখী, রোকসানা ইয়াসমীন মনি, ফারজানা করীম, ফারজানা ইয়াসমীন, রোমানা আফরোজ রুবি, তাসলিমা শাহনুর, মো: তাজুল ইসলাম, আশিক বিন রহিম, তছলিম হোসেন প্রমুখ।
যুগে যুগে কবিতা হয়ে উঠেছে গণমানুষের মুখের ভাষা হয়ে, এসেছে একেকটি পংক্তি মানুষের মনের কথা হয়ে। যে কবিতা মানুষের মাঝে এনে দিয়েছে দ্রোহ। এনে দিয়েছে প্রেম। দিয়েছে সচেতন করে। দিয়েছে জাগ্রত করে। সে কবিতা ও কবি এখনো ঘুরে মানুষের হৃদয়ের মানসপটে।
২৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫