কথা দিলাম জরিনাকে
কথা দিলাম সখিনাকে
কথা দিলাম জমিলাকে
দেশে ফিরে করবো বিয়ে তোমাকে।
প্রবাসে কতো ত্যাগ, কতো যে অপেক্ষা
শয়নে স্বপনে অন্তরে থাকো, ভালবাসি সর্বাপেক্ষা।
বেদনা বিধূর পথ চলা, তবুও দীর্ঘ তিতিক্ষা
কাজের মাঝে দিব্য সেথা তোমার প্রতীক্ষা।
কাজের ফাঁদে জীবন জ্বলে পথে হল দেরি।
পাছে শুনি অন্য ঘরে বেঁধেছ ঘর তড়িঘড়ি।
আনিয়া ঘরে নব বধূ
চললাম বিদেশ শুধু
আগে পিছে না ভেবে
বিশ বছর পরে ফিরে দুজনেই ভাঙ্গা সাইকেল।
স্বল্প ছুটির সহবাসে সন্তান গর্ভে থাকে বাড়তে
জন্মে দেখে বাবা তার ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অতি বেশি আদর বা অনাদরে হতে থাকে বাড়তে
আশ্রয়, প্রশ্রয় পেয়ে অনেকে যায় আয়ত্তের বাইরে।
শৈশবে সন্তান সয় অবজ্ঞা, অযত্ন, অনাদর এসব বঞ্চনা
বয়সে বাড়ে আক্ষেপ, বিষণ্নতা, বেদনা, মানসিক যন্ত্রণা।
স্ত্রী, মা-বাবা সবাই বয়ে চলে না পাবার অস্থিরতা, অপূর্ণতা
স্রোতের ন্যায় সময় যায়, মনে হয় সবকিছুতেই শূন্যতা।
মাতৃবিয়োগ, পিতৃবিয়োগ আছে আরও কত ব্যাথা
একা থাকা প্রবাস জীবন সহস্র দুখে গাঁথা।
২৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫