চারপাশে থমথমে বোবাকান্না,
অসহায় আত্মনিবেদনে দুখিনী মায়েরা,
শতছিন্নের বস্ত্রাবরণে একি হাল জননীর-
কৃষ্ণচূড়ার ভূষণে সজ্জিতা ছিল বর্ণমালা।
বাংলার গাঁথুনিতে জোর না আজ,
বিদেশি শব্দের চাষাবাদে শৈল্পিক সাজ,
করুণ! মৃত্যু ঘনিয়ে এলো বুঝি-
অভাগীর ভূষণ ছেঁড়া হলো বারংবার।
পলাতক গুণিজনে করজোড়ে প্রার্থনায়,
বাংলার রূপ কীর্তন শুনেছি,
শহিদ বরকত,সালামের রক্তের দাগে-
এই বাংলার চিরাচরিত
আজ মলিন বদনে কেন মায়ের চেহারা,
উদিত হচ্ছে, করুণ কাহিনি অবলোকন-
দূষিত জনপদে কৃষ্ণচূড়ার রং ধূসর-বিষন্ন,
অভাগী দুখিনী বর্ণমালা।
দেওয়ালিকার বড় অক্ষরে প্রাণহীন কথা,
চাটুকারের সমাজে লজ্জিত অক্ষরগুলো,
প্রতিবাদের মিছিলে সামিল হবে-
আবারো বেজে উঠবে ফেব্রুয়ারির গান।
কত শত কথা জমে আছে,
দুখিনী বর্ণমালার পরিচয়ে অস্বস্তিবোধ,
জরাজীর্ণ দেহটা নিয়েই-
ফেব্রুয়ারির জন্য মরমর বেঁচে থাকা।
চারপাশে থমথমে বোবাকান্না,
অসহায় আত্মনিবেদনে দুখিনী মায়েরা,
আর কতকাল অতিবাহিত হলে তবেই-
কৃষ্ণচূড়ার রাঙা রঙে সাজবে বর্ণমালা।
দুখিনী বর্ণমালার ছিন্ন ভূষণে,
আর কত কেতন উড়াবে?
থাম! বাংলার গাঁথুনি আগে,
পরে হউক বিদেশি শব্দের চাষাবাদ।
২৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫