কাবিনের টাকা শোধ এবং গোপনে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া সোহাগ মিয়াকে ফেরত পাঠানোর জন্য কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়া গ্রামের মরহুম চাঁদ মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুর রব ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বরাবর চলতি বছরের ২ মার্চ এক লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে আব্দুর রব উল্লেখ করেন, আমার বন্ধুর মেয়ে নুসরাত জাহান মীমকে বিগত ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর আমার নিজ জিম্মাই কুমিল্লা
বিদেশ যাওয়ার পর ছেলে ও ছেলের মাসহ অন্যান্যরা উক্ত কাবিনের ৩ লক্ষ টাকা দিবে না বলে অস্বীকার করছে। বর্তমানে মেয়ে গর্ভবর্তী অবস্থায় আছে । যেহেতু কাবিননামা বন্ধ আছে সেহেতু বাংলাদেশ আইনের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিবাহ আইনসিদ্ধ হয়নি। এমনকি মেয়েকে বর্তমানে গর্ভবতী অবস্থায় রেখে বিদেশে চলে যায়।
তাই বাংলাদেশ প্রচলিত আইনের যে কোন ধারায় তাকে দেশে এনে আইনের মাধ্যমে যে কোন সাজা দেওয়ার জন্য এবং কাবিনের প্রাপ্য টাকা ৩ লক্ষ টাকা ক্যাশ পাওয়ার যে কোন ব্যবস্থায় টাকা পাইতে পারি তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং সোহাগ মিয়া'কে যে কোন সাজা ও ওমানের রাষ্ট্রদূতকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি যে, প্রতারক সোহাগ মিয়াকে যত দ্রুত পারেন বাংলাদেশ পাঠান ও তাকে চিরদিনের জন্য ওমানে না যেতে পারে তাহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা গেল।
এমতাবস্থায় সোহাগ মিয়াকে যদি বাংলাদেশে দ্রুত না পাঠান তাহলে আমরা যতদূর সম্ভব নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ফৌজদারী মামলা দায়ের করিব। বর্তমানে ফৌজদারী মামলার দায়ের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন চলতেছে, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা নং- পিআর ২৫৪/২০৩ করা আছে যদি আপনারা কোন প্রকার সমাধান না করেন তাহলে আমরা যতটুকু সম্ভব মামলা শুনানি করে দিব যাতে মেয়ে পক্ষকে কোন প্রকার দায়ী করা যাইবে না।
উক্ত বিষয়ে সাক্ষী হিসাবে তার বড় বোন জামাই, বেয়াই ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে সাক্ষী হিসাবে আছে, মামলায় তারা সাক্ষী দিবে।
২৯ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫