অন্তর্বর্তী সরকার গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তরের যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি গবেষণার ক্ষেত্রও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবে সারা দেশের স্মৃতিগুলো এখানে (গণভবন) জাদুঘরের বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া, গত ১৬ বছরে ঘটে যাওয়া নিপীড়নের স্মৃতিচিহ্নগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আয়নাঘরের
একটি রেপ্লিকা করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে, যাতে সেই সময়ের নিপীড়নের প্রভাবের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণ করা যায়।’নাহিদ আরও বলেন, ‘এই স্মৃতিগুলো কেবলমাত্র সংরক্ষণের জন্য নয় বরং এটি গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
শনিবার গণভবন পরিদর্শন শেষে জাদুঘর রূপান্তরের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি একটি কমিটি দেখবে এবং তারা টাইমলাইন নির্ধারণ করবেন। তখন নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে জানা যাবে।
প্রবল গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার সময়, গত ৫ আগস্ট হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গণভবনে প্রবেশ করেন। তারা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষগুলোতে তাদের ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে গ্রাফিতি আঁকেন এবং 'খুনি হাসিনা' সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান লেখেন। বর্তমানে সেই বাড়িটিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তর করা হচ্ছে।
নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গণভবনকে জাদুঘর হিসেবে রাখবে কি না জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অবশ্যই, এটা জনগণের প্রত্যাশা। এই বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে বর্তমানে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোও এ বিষয়ে একমত।’
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে যে-ই সরকারে আসুক না কেন, এটি জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে থাকবে। এটির কার্যক্রম সবসময় চলমান থাকবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
১৮ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫